নবনির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১০টায় নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ পাঠ শেষে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও শপথ যথাযথভাবে জাতির সেবায় নিবেদিত হতে হবে।
আগামী ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা পরিষদের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যানদের সঙ্গে শপথকালে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক এ তথ্য জানান।
শপথ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। এলজিআরডি সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদের সদসবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত আছে বগুড়া ও কুষ্টিয়ায়। তবে সেখানে সদস্য পদে ভোট হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ২১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ব্যক্তিরা জয়ী হয়েছেন ২৫ জেলায়। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান হয়েছেন ৪৬ জন। অন্য ১২ জন আওয়ামী লীগের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতা।
বিএনপিসহ বড় দলগুলো এই জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচন হওয়ার ফলে ৩০ জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বাইরেও ৫০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।
এর আগে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রশাসক নিয়োগ করে সরকার। নির্বাচন না হওয়ায় অনির্বাচিত ব্যক্তিরাই প্রশাসক হিসেবে কাজ করায় অনেক ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা কমে যায়। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করেই সরকার দ্রুত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়।
বিদ্যমান জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ অনুযায়ীই জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত পাঁচজন নারী সদস্যও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়।