ভোটের দুই দিন আগে পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম সাইদুল হক চুন্নুু। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। অবশ্য তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ব্যালটপেপারে তার নাম থেকে যাবে। কারণ, ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেচে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুন্নু বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী। নির্দলীয় এ নির্বাচনে আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, যিনি পাবনার রাজনীতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত। তিনি পাবনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারো সাথে আলাপ আলোচনা না করে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রভাবিত করে অযোগ্য, অদক্ষ ব্যক্তিদের পাবনাবাসীর মাথার উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে সর্ব প্রকার নির্বাচনী আচরণবিধি পদদলিত করেছেন, যা দুঃখজনক।
চুন্নু লিখেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে দেখলাম সম্মানিত ভোটারগণ তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়। এ ছাড়াও আমি দেখলাম রাজনীতির নামে নির্বাচনী মাঠে নেমে বিশেষ কেউ অনৈতিক খেলায় মেতেছেন।’
চুন্নু লিখেন, ‘আমার স্বচ্ছ রাজনৈতিক জীবনে কখনো নিজেকে এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়াইনি। তাই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
চুন্নু লিখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নগণ্য সেবক হিসেবে পাবনার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। গত পাঁচ বছর আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও সুনামের সাথে পালন করেছি।’