ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ ইটনায় ট্রলার ডাকাতি, আতঙ্কে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ নূরুল আলম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৬২৬ বার

জেলার ইটনায় নবদম্পতিসহ বরের বাড়ি থেকে ফেরার পথে যাত্রীবাহী ট্রলারে গুলি বর্ষণ করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মিলেনি।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত নূরুল আলম (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কাটাখাল মোহনায় ডাকাতদলের কবলে পড়ে আতঙ্কে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ নূরুল আলম রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা শেখ আবদুল্লাহর ছেলে এবং কনে রূপা আক্তারের মামা। এছাড়া ডাকাতের গুলিতে আহত নান্টু মিয়া (৪৩) কে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দে্ওয়া হচ্ছে। ডাকাতির এই ঘটনায় আনুমানিক ৭০-৮০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২৫টি মোবাইল ফোন এবং অন্তত তিন লাখ টাকা লুটে নিয়ে যায় ডাকাতদল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রলারের মাঝি এরশাদ ও চালক রাসেলসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের করণশী গ্রামের আবদুল গণি ওরফে ইম্মত মিয়ার স্কুলশিক্ষক ছেলে মুর্শেদ ইসলামের সাথে রাজধানীর হাতিরপুর এলাকার লিয়াকত আলীর মেয়ে রূপা আক্তারের গত শনিবার রাজধানী শহরে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বিয়ের পর কনেকে নিয়ে বরপক্ষ বরের বাড়ি করনশী গ্রামে নিয়ে আসে। নবদম্পতিকে ফিরতি যাত্রা নিতে কনের স্বজনেরা মঙ্গলবার বরের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার শেষে ঢাকা যাওয়ার জন্য বর-কনে, কনেপক্ষের লোকজন ও বরের স্বজনসহ ৩৫ জনের মতো যাত্রী ওয়ারা গ্রামের জসিম মেম্বারের ট্রলারে করে বিকাল ৪টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।

যাত্রীরা জানান, ট্রলারটি চামড়া বন্দর যাওয়ার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কাটাখাল মোহনায় পৌঁছার পর পরই অন্য একটি ট্রলারে করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ৮-১০ জনের একটি ডাকাতদল হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদলের ছোঁড়া গুলিতে বরের খালাতো ভাই নান্টু মিয়া আহত হলে আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দেন কনের মামা নূরুল আলম।

ডাকাতদলের সদস্যরা নবদম্পতিসহ তাদের স্বজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ইটনা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতির কবলে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় চামড়াবন্দরের পৌঁছে দেন।

ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, ট্রলারের মাঝিসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ ইটনায় ট্রলার ডাকাতি, আতঙ্কে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ নূরুল আলম

আপডেট টাইম : ১২:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

জেলার ইটনায় নবদম্পতিসহ বরের বাড়ি থেকে ফেরার পথে যাত্রীবাহী ট্রলারে গুলি বর্ষণ করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মিলেনি।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত নূরুল আলম (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কাটাখাল মোহনায় ডাকাতদলের কবলে পড়ে আতঙ্কে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ নূরুল আলম রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা শেখ আবদুল্লাহর ছেলে এবং কনে রূপা আক্তারের মামা। এছাড়া ডাকাতের গুলিতে আহত নান্টু মিয়া (৪৩) কে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দে্ওয়া হচ্ছে। ডাকাতির এই ঘটনায় আনুমানিক ৭০-৮০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২৫টি মোবাইল ফোন এবং অন্তত তিন লাখ টাকা লুটে নিয়ে যায় ডাকাতদল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রলারের মাঝি এরশাদ ও চালক রাসেলসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের করণশী গ্রামের আবদুল গণি ওরফে ইম্মত মিয়ার স্কুলশিক্ষক ছেলে মুর্শেদ ইসলামের সাথে রাজধানীর হাতিরপুর এলাকার লিয়াকত আলীর মেয়ে রূপা আক্তারের গত শনিবার রাজধানী শহরে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বিয়ের পর কনেকে নিয়ে বরপক্ষ বরের বাড়ি করনশী গ্রামে নিয়ে আসে। নবদম্পতিকে ফিরতি যাত্রা নিতে কনের স্বজনেরা মঙ্গলবার বরের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার শেষে ঢাকা যাওয়ার জন্য বর-কনে, কনেপক্ষের লোকজন ও বরের স্বজনসহ ৩৫ জনের মতো যাত্রী ওয়ারা গ্রামের জসিম মেম্বারের ট্রলারে করে বিকাল ৪টার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল।

যাত্রীরা জানান, ট্রলারটি চামড়া বন্দর যাওয়ার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কাটাখাল মোহনায় পৌঁছার পর পরই অন্য একটি ট্রলারে করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ৮-১০ জনের একটি ডাকাতদল হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতদলের ছোঁড়া গুলিতে বরের খালাতো ভাই নান্টু মিয়া আহত হলে আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দেন কনের মামা নূরুল আলম।

ডাকাতদলের সদস্যরা নবদম্পতিসহ তাদের স্বজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ইটনা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতির কবলে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় চামড়াবন্দরের পৌঁছে দেন।

ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, ট্রলারের মাঝিসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।