কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের মতো সংরক্ষিত দুই ওয়ার্ড এবং সাধারণ দুই ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় কেবল ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মোট ৫৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫১ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮জন প্রার্থী।
অন্যদিকে একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শামীমা আক্তার রোমা, ৫নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাঈদা আক্তার পারুল, ১২নং ওয়ার্ডে মির্জা মো. সোলায়মান এবং ১৫নং ওয়ার্ডে ফজলুল হক হাইদারী বাচ্চু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির পরই তারা নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম জানান, রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৫জন সদস্য প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন, ২নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম শওকত, ৯নং ওয়ার্ডের দুই প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন ও মাহবুবুর রহমান এবং ১০নং ওয়ার্ডের হারুন মিয়া। ফলে সদস্য পদে ১৩টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থীর সংখ্যা ৫১জনে এসে দাড়িয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, ১নং ওয়ার্ডে ৫ জন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, মো. খবিরুল ইসলাম গোলাপ, মো. মজিবুর রহমান, মো. সানোয়ার হোসেন, মো. শহীদুল ইসলাম ভূঁঞা এবং মো. লুৎফুল আরেফীন গোলাপ। এই ওয়ার্ডে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন রশিদাবাদ, মারিয়া, বিন্নাটি, চৌদ্দশত, যশোদল, কর্শাকড়িয়াইল ও দানাপাটুলী ইউনিয়ন রয়েছে।
২নং ওয়ার্ডের ৪ প্রার্থী হচ্ছেন, মো. মোবারিছ মিয়া, মো. আবু নাঈম ভূইয়া রেনু, মাসুদ আলম এবং মোহাম্মদ সোহেল। এই ওয়ার্ডে হোসেনপুর পৌরসভা, হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন গোবিন্দপুর, পুমদী, শাহেদল, আড়াইবাড়ীয়া, সিদলা ও জিনারী এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়ন।
৩নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন, মো. কামরুজ্জামান আসাদ, মো. হাদিউল ইসলাম, মো. আতাউর রহমান, মো. ফরিদ উদ্দিন, জসীম উদ্দিন এবং মো. জহিরুল ইসলাম। এই ওয়ার্ডে পাকুন্দিয়া পৌরসভা এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন যথাক্রমে সুখিয়া, চণ্ডিপাশা, নারান্দী, হোসেন্দী, পাটুয়াভাঙ্গা, বুরুদিয়া, এগারোসিন্দুর ও চরফরাদী।
৪নং ওয়ার্ডের ৫ প্রার্থী হলেন, মো. আসাদুজ্জামান সোনা মিয়া, তারেক মিনহাজ কোরায়শী, মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, মো. মফিজ উদ্দিন এবং মোশাররফ হোসেন বাবুল। এই ওয়ার্ডে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন লতিবাবাদ, মাইজখাপন, মহিনন্দ ও বৌলাই এবং করিমগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন নোয়াবাদ, জাফরাবাদ, কাদিরজঙ্গল ও গুজাদিয়া।
৫নং ওয়ার্ডের তিন প্রার্থী হলেন, মো. ওমর ফারুক তালুকদার, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও মো. সোহাগ মিয়া। এই ওয়ার্ডে করিমগঞ্জ পৌরসভা এবং করিমগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন যথাক্রমে কিরাটন, দেহুন্দা, নিয়ামতপুর, সুতারপাড়া, বারঘড়িয়া, গুণধর ও জয়কা।
৬নং ওয়ার্ডের ৩ প্রার্থী হলেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, একে মাইনুজ্জামান নবাব এবং মো. আনোয়ার হোসেন সুজন। এই ওয়ার্ডে তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন তাড়াইল-সাচাইল, তালজাঙ্গা, রাউতি, ধলা, জাওয়ার, দামিহা ও দিগদাইড়।
৭নং ওয়ার্ডের ৬ প্রার্থী হলেন, মো. কামরুজ্জামান, আবু নাসের মো. ফারুক সনজু, মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান খান, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আলী এবং মো. ইসমাইল হোসাইন। এই ওয়ার্ডে কটিয়াদী পৌরসভা এবং কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন মসূয়া, আচমিতা, বনগ্রাম, সহশ্রাম ধূলদিয়া, করগাঁও, চান্দপুর ও মুমুরদিয়া।
৮নং ওয়ার্ডের তিন প্রার্থী হলেন, মো. মাহবুব হাসান কামাল, মুহাম্মদ আব্দুল কাদির ও মো. শাহজাহান মাহবুবুর রহমান। এই ওয়ার্ডে কটিয়াদী উপজেলার ২টি ইউনিয়ন জালালপুর ও লোহাজুড়ি ইউনিয়ন এবং বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন পিরিজপুর, হুমাইপুর, সরারচর, হিলচিয়া ও কৈলাগ ইউনিয়ন।
৯নং ওয়ার্ডের তিন প্রার্থী হলেন, মো. জাকির হোসেন বাতেন, মো. আলী আকবর এবং মো. আব্দুল হামিদ। এই ওয়ার্ডে নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিকলী সদর, জারইতলা, গুরুই, দামপাড়া, কারপাশা, সিংপুর ও ছাতিরচর।
১০নং ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী মো. আ. রহমান বোরহান ও শাহাদাত হোসেন। এই ওয়ার্ডে বাজিতপুর পৌরসভা এবং বাজিতপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন যথাক্রমে গাজীরচর, দিলালপুর, বলিয়ারদি, দিঘীরপাড়, হালিমপুর ও মাইজচর।
১১নং ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী মো. জিল্লুর রহমান এবং মাইনুল ইসলাম। এই ওয়ার্ডে কুলিয়ারচর পৌরসভা এবং কুলিয়ারচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ছয়সুতী, ফরিদপুর, সালুয়া, গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর, রামদী ও উছমানপুর। ১৩নং ওয়ার্ডে ৭ প্রার্থী হলেন, কালী পদ সরকার, মো. আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আবুল কাউছার খান মিলকী, প্রদীপ কুমার দাস, মো. ইসহাক মিয়া, খলিলুর রহমান এবং মো. জিল্লুর রহমান। এই ওয়ার্ডে ইটনা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ইটনা সদর, রায়টুটি, বাদলা, চৌগাংগা, বড়িবাড়ী, এলংজুরী, জয়সিদ্ধি, মৃগা ও ধনপুর।
১৪নং ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী এবং সমীর কুমার বৈষ্ণব। এই ওয়ার্ডে মিঠামইন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন যথাক্রমে মিঠামইন সদর, ঘাগড়া, কেওয়ারজোড়, কাটখাল, ঢাকী, বৈরাটি ও গোপদিঘী। এছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তিন প্রার্থী ফৌজিয়া জলিল, রৌশনারা এবং সুমাইয়া আক্তার রুনা। ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী শায়লা পারভীন সাথী এবং মোছা. সাইয়েদুল উম্মুল ফাতেমা। ৪নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩ প্রার্থী সৈয়দা নাছিমা, মোছা. নাসিমা আক্তার এবং শিউলী খানম।