রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অধিবাসীদের বর্ণাঢ্য জীবনাচার মিলে আমাদের পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত অঞ্চল। বর্ণিল লোকাচার কৃষ্টি-ঐতিহ্যে এ অঞ্চল কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্বাবাসীকে দুর্বার আকর্ষণ করে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পর্বতের সাথে ধর্মীয় মিথ জড়িয়ে আছে। মাউন্ট অলিম্পাস, মাউন্ট সিনাই, মাউন্ট এথোস, হলি বুদ্ধিস্ট মাউন্টেন আমাদের সেই মিথকে স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রকৃতির সাথে বসবাস করে পার্বত্য এলাকার জনগণ যেমন জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করছে তেমনি তারা পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় welq ÔMountain Cultures : celebrating diversity and strengthening identyÕ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং পার্বত্য মানুষের টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের মৌলিক উপাদানসমূহ নিশ্চিত হবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে যে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে খাপ খাইয়ে জীবনমান উন্নয়নেও আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’