ঘরের মাঠে টানা ছয়টি সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দলের সামনে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ বিদেশের মাটিতে ভালো খেলা। আর এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আড়াই বছর পর বিদেশের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে শুক্রবার মিরপুরে বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা শেষ বছর ম্যাক্সিমাম সব ম্যাচই হোমে খেলেছি, জিতেছিও। দুই বছর আগে টার্গেট করেছিলাম, হোমে অ্যাটলিস্ট ৮০ ভাগ ম্যাচ জেতা। আমরা সে জায়গায় সফলতা পেয়েছি। এখন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ, বিদেশে মাটিতে ভালো খেলা। অনেক প্রতিষ্ঠিত দলের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং।’
তিনি জানান, বিদেশের মাঠে ভালো খেলা এমনিতেই অনেক কঠিন কাজ। তার চেয়েও বড় কঠিন নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলা, ‘নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ভিন্ন। মনে করি একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। আমরা যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি, সেই স্মৃতিগুলো যদি ওখানে নিতে পারি, তাহলে মনে হয় ভালো ফল আসবে।’
মাশরাফি বলেন, ‘যেখানেই খেলিনা কেন প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব আমরা। তবে যারা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট তারা সবাই বুঝে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের হারানো অনেক কঠিন।’
নিউজিল্যান্ডের প্রাক প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশ দলের ১০ দিনের যে ক্যাম্প হবে। সেটা নিউজিল্যান্ডে হলে আরো ভালো হতো বললেন অধিনায়ক। বলেন, ‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সময় অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে ১৫ দিনের ক্যাম্প করায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আশা করি এবারও ভালো হবে।’
যেখানেই খেলা হোক না কেন! রেজাল্ট আনতে হলে দলের সিনিয়রদের বেশি ভূমিকা রাখতে হবে, ‘আমরা অ্যাওয়ে খেলি আর হোম, সবসময়ই সিনিয়র প্লেয়ারদের একটা প্রভাব থাকে। চেষ্টা করবো জুনিয়র যারা আছে তাদেরকে যেন সিনিয়ররা হেল্প করতে পারে। একই সঙ্গে ডিফিকাল্ট টাইমে যেন স্টেপআপ করতে পারে।’
বিপিএলে নিজের মান অনুসারে খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। অর অফ ফর্ম থাকা সৌম্যকে নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটের টপ লেভেলের ক্রিকেটার, এটা নিয়ে কোনো ডাউট নেই। ন্যাশনাল টিমের ক্ষেত্রে হি ইজ অলয়েজ বেস্ট। আর সৌম্য লাস্ট দেড়বছর ওভাবে রান করতে পারেনি। কোনো ফরম্যাটেই হয়তোরান করতে পারেনি। কিন্তু একটা বড় রান বা বড় ইনিংস ওকে চেঞ্জ করে দিতে পারে।’