প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কীর্তিময়ী কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতি বিজড়িত গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি অবশেষে পাকা রাস্তা করার কাজ হাতে নিয়েছে প্রশাসন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজ খাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে অবস্থিত কবি চন্দ্রাবতী এলাকার রাস্তাগুলো ছিল দীর্ঘ বছর যাবত কাঁচা ও সরু এবং গর্তে ভরপুর। যে কারণে বর্ষাকালে এমনকি শুকনার সময়েও দেশ বিদেশের কোন দর্শনার্থীরা এ দর্শনীয় স্থানটি দেখতে গিয়ে পড়তেন বিড়ম্বনায়।
দুর্ভোগ পোহাতে হতো আগত দর্শনার্থীদেরকেও। আর কাঁচা রাস্তা থাকার কারণে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদ্রুত ডব্লিউ ড্যান মজিনা চন্দ্রাবতী এলাকা আসার নির্ধারিত তারিখে কিশোরগঞ্জ এসে ফিরে যান শুধু রাস্তার দুরাবস্থা দেখে। বিষয়টি কিশোরগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে চন্দ্রাবতী এলাকার রাস্তাগুলো পাকা করণের দাবী জানিয়ে পত্র লিখেন।
পরে মন্ত্রী এলজিইডির সংশ্লিষ্টদেরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ সরেজমিনে গিয়ে রাস্তা মেপে একটি প্রকল্প তৈরী করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেন। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জ রেল ষ্ট্রেশন থেকে-কাচারীপাড়া আফসর উদ্দিন মেম্বারের বাড়ি রোড হয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত রাস্তা, মাইজখাপন কাচারীপাড়া-কাদিরজঙ্গল রাস্তা, পাতুয়াইর কাচারীপাড়া রাস্তার সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৭ শত ১৪ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণের প্রকল্পটি পাস হয়। বর্তমানে এসব রাস্তায় পুরোদমে পাকা করণের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাস্তাগুলোতে ১৩টি কালভার্ট ও ৮ শত মিটারের প্রটেকশান দেয়ালও তৈরী করার কথা জানিয়েছে সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এসব কাজের ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা জানান, প্রকল্পটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিল।
১৯ অক্টোবর ১৬ হতে ১৮ অক্টোবর ১৭ মেয়াদকালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে মেসার্স শাহীল এন্টার প্রাইজের সাথে চুক্তি মোতাবেক কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাস্তাগুলো পাকা করণের কাজ হাতে নেয়ায় প্রশাসনের প্রতি দর্শনার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছেন।