বাজে আম্পায়ারিংয়ের হেরে গেলে খুলনা টাইটান্স। বল ব্যাটে লেগে প্যাডে আঘাত হানলেও আঙ্গুল তুলে বিনি হাওয়েলকে মাঠ ছাড়া করেছেন আম্পয়ার নাদির শাহ। আর তাতেই ১৪১ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৬ রানেই থেমে যায় খুলনার অগ্রযাত্রা। ৫৪ রানের জয় নিয়ে ফাইনালে চলে যায় ঢাকা। অথচ এই খুলনাকে গ্রুপ পর্র শেষ খেলায় সেরা চারে টেনে তুলেছে ঢাকা।
আজ আবার তাদের কৌশলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল বিসিবির দলটি। ঢাকা-খুলনার ম্যাচে যে নোঙ্গরামি হবে তা দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আচ করা গেছে। আবু জায়েদ রাহির আবেদনে সাড়া না দেয়ায় আম্পায়ার খালিদ মাহমুদরে উপর প্রথমে চরাও হন রাহি। রাহিকে আম্পায়ারের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়াতে দেখে সতির্ ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল হাতে ধরে টেনে সরিয়ে নেন। তবে ফিল্ডিং পজিশন থেকে তেড়ে এসে আম্পায়ার খালিদের উপর দ্বিতীয় দফায় চরাও হন ঢাকার অধিনায়ক সাবিক আল হাসান। এই ঘটনার পরপরই ম্যাচের পট পরিবর্ন হতে থাকে।
ঢাকার পক্ষে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়ে যান আম্পায়াররা। হাসানুজ্জামান, পাওয়েলরাতো আম্পায়ারের বলি হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ফর্ম থাকা একটা দলকে ডুবাতে এ সিদ্ধান্ত দুটিই যথেস্ট। এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে। বিপিএলেও হয়ে আসছে, পক্ষপাতদুষ্ট ক্রিকেটের কারণে বিপিএলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পরছে। আগে যেখানে টিকেটের জন্য দর্করা হুমরি খেয়ে পড়তেন সেখানে এখন মাইকিং করেও দর্ক মাঠে আনা যাচ্ছেনা।
শেষ চারের ম্যাচগুলোতে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে ভেবে দর্করা যখন মাঠে এলেও দেখেছেন টেবিলের নোঙ্গরামী। শুধু মাঠেই না, গ্যালারিতেও নোঙ্গরামি হয়েছে এদিন। কারো দাবী গ্রান্ডস্টান্ডে বসা নিয়ে বিরোধে পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন ঢাকার সমর্করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মর অবশ্য বলেছেন, ঢাকার মালিক পক্ষের লোকজন তাদের সহকর্ীর গায়ে হাত তুলেছেন। তবে এনিয়ে বিসিবি এবং নিরপত্তায় নিয়োজিত কেউই কথা বলেননি।