ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের কোয়ামি পার্টিকে অর্থ দিয়েছে ভারত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০১৫
  • ২৬০ বার
ভারত সরকার পাকিস্তানের মুত্তাহিদিন কোয়ামি পার্টিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এ কথা বলেছেন ওই পার্টির এক নেতা। বুধবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে। এক পাকিস্তানী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, কোয়ামি পার্টির শত শত জিহাদিদেকে গত দশ বছর ধরে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ভারত। তবে অভিযোগটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন দাবি করেছে ভারত সরকার।

কোয়ামি পার্টির দুই জিহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ পেয়েছেন— করাচি পুলিশের এমন বিবৃতির পর এই পার্টিকে নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ উঠল।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ামি পার্টির কাছে অস্ত্রের একটি তালিকাও পেয়েছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তদন্তও শুরু করেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের ২৪ জন সদস্য কোয়ামি পার্টির রাজনীতিক। করাচিতে দলটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

দলেরই এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, দলটি ভারত থেকে অর্থায়ন পেয়ে থাকে।

বিবিসি এ নিয়ে কথা বলেছে, পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশেরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, গত দশ বছর ধরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে কোয়ামির জিহাদিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত সরকার।

ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, ২০০৫-০৬ সালের আগে অল্প সংখ্যক সদস্য এই প্রশিক্ষণ পেতেন। কিন্তু সম্প্রতি কোয়ামির নিচু পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০১০ সালে কোয়ামির জ্যেষ্ঠ এক নেতা ইমরান ফারুক লন্ডনে তার বাসভবনের কাছে ছুরিকাঘাতে নিহত হলে দলটির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের কোয়ামি পার্টিকে অর্থ দিয়েছে ভারত

আপডেট টাইম : ০৪:০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০১৫
ভারত সরকার পাকিস্তানের মুত্তাহিদিন কোয়ামি পার্টিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এ কথা বলেছেন ওই পার্টির এক নেতা। বুধবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে। এক পাকিস্তানী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, কোয়ামি পার্টির শত শত জিহাদিদেকে গত দশ বছর ধরে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ভারত। তবে অভিযোগটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন দাবি করেছে ভারত সরকার।

কোয়ামি পার্টির দুই জিহাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ পেয়েছেন— করাচি পুলিশের এমন বিবৃতির পর এই পার্টিকে নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ উঠল।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ামি পার্টির কাছে অস্ত্রের একটি তালিকাও পেয়েছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তদন্তও শুরু করেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের ২৪ জন সদস্য কোয়ামি পার্টির রাজনীতিক। করাচিতে দলটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

দলেরই এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, দলটি ভারত থেকে অর্থায়ন পেয়ে থাকে।

বিবিসি এ নিয়ে কথা বলেছে, পাকিস্তান ও ভারত দুই দেশেরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, গত দশ বছর ধরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে কোয়ামির জিহাদিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত সরকার।

ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, ২০০৫-০৬ সালের আগে অল্প সংখ্যক সদস্য এই প্রশিক্ষণ পেতেন। কিন্তু সম্প্রতি কোয়ামির নিচু পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী ভারতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ২০১০ সালে কোয়ামির জ্যেষ্ঠ এক নেতা ইমরান ফারুক লন্ডনে তার বাসভবনের কাছে ছুরিকাঘাতে নিহত হলে দলটির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।