চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেট সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এই ছাত্রনেতা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা মনে করলেও স্বজনদের অভিযোগ, হত্যার পর দিয়াজকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেটের পাশে একটিচার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন দিয়াজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রলীগের কোন্দলের জের ধরে গত ২৯ অক্টোবর রাতে দিয়াজের বাসায় ভাঙচুর ও হামলার পর দিয়াজ বাসায় একাই থাকতেন। বাসার যে কক্ষে দিয়াজ থাকতেন সেই কক্ষের জানালা দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। পুলিশ এসে দিয়াজের কক্ষের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ওই বাসায় দিয়াজ একাই অবস্থান করছিলেন। তার পাশে ফ্ল্যাটের লোকদের কাঝ থেকে খবর পেয়ে দরজা ভেঙে ঘর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা দিয়াজের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
এদিকে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বড় বোন জুবাইদা সরোয়ার তার ভাই আত্মহত্যা করেছেন বলে মানতে নারাজ। পূর্বপশ্চিমকে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন্দলের জের ধরে দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে ।ঘটনাকে ভিন্নখাতে দেখানোর জন্যই তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।