ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদিসের কথা যে মানুষ জান্নাতের দুয়ারে গিয়েও ফিরে আসে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার

মানুষের জীবন শুধু দৃশ্যমান কর্মের সমষ্টি নয়; তার অন্তর, নিয়্যাত ও অদৃশ্য তাকদীর; এই তিনের রহস্যেই লুকিয়ে আছে তার চূড়ান্ত পরিণতি। মানুষ যতই পরিকল্পনা করুক, আল্লাহর নির্ধারিত ফয়সালার বাইরে সে এক কদমও যেতে পারে না। তবুও ইসলামের শিক্ষা হলো; আমল চালিয়ে যাওয়া, নিয়্যাত বিশুদ্ধ রাখা এবং আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা হারিয়ে না ফেলা। এই সত্যটিই মহানবী (সা.) এক গভীর হাদিসে তুলে ধরেছেন, যা তাকদীর, নিয়্যাত ও জীবনের শেষ পরিণতির বাস্তব চিত্র স্পষ্ট করে দেয়-

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعٍ بِرِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَاللهِ إِنَّ أَحَدَكُمْ أَوْ الرَّجُلَ يَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ بَاعٍ أَوْ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذِرَاعٍ أَوْ ذِرَاعَيْنِ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত।

তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী হিসেবে স্বীকৃত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্র হিসেবে) জমা থাকে। তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন রক্তপিন্ড, তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন মাংস পিন্ডাকারে থাকে। তারপর আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠান এবং তাকে রিযিক, মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য- এ চারটি বিষয় লিখার জন্য আদেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেন, কোনো ব্যক্তি জাহান্নামীদের আমল করতে থাকে।
এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত বা এক গজের তফাৎ থাকে।এমন সময় তাক্দীর তার ওপর প্রাধান্য লাভ করে আর তখন সে জান্নাতীদের আমল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি জান্নাতীদের আমল করতে থাকে।

এমন কি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত বা দু’হাত তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার উপর প্রাধান্য লাভ করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের আমল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৯৪; মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৩)বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের ব্যাখ্যা:

ইমাম নববী (রহ.) 

ইমাম নববী (রহ.) বলেন: ‘এই হাদিসের অর্থ এই নয় যে মানুষ সত্যিকার অর্থে জান্নাতিদের আমল করছিল অথচ শেষে উল্টো হয়ে গেল; বরং এর অর্থ হলো—সে বাহ্যিকভাবে জান্নাতিদের আমল করছিল, অথচ তার অন্তরে ছিল না খালিস নিয়্যাত ও ঈমান। তাই শেষপর্যন্ত তার অন্তর প্রকাশ পেয়েছে।

 (শরহ সহিহ মুসলিম, নববী, খণ্ড ১৬, পৃ. ৩৬৬)অর্থাৎ, ‘শেষের আমলই নির্ধারক’ (الخواتيم معتبرة) — যে যেমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার পরিণতি তেমনই হয়।

ইবনে হাজর আল-আসকালানী (রহ.)

ইবনেহাজর (রহ.) ব্যাখ্যা করেন: ‘এ হাদিস তাকদীরের সত্যতার উপর দৃঢ় প্রমাণ। আল্লাহ মানুষের পরিণতি এমনভাবে নির্ধারণ করেছেন যা মানুষের কাছে অজানা। বাহ্যিকভাবে কেউ ধার্মিক মনে হলেও যদি অন্তর কলুষিত হয়, আল্লাহর ইলমে জানা থাকে তার শেষ কীরূপ হবে।’ (ফাতহুল বারী, হাদিস: ৩২০৮)

তিনি বলেন, মানুষের আমল তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফলপ্রসূ হয়; যদি নিয়্যাত বিকৃত হয়, তবে আল্লাহ শেষ পর্যন্ত সেটি প্রকাশ করে দেন।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)

ইবনুল কাইয়্যিম বলেন: ‘মানুষের শেষ অবস্থা তার অভ্যন্তরীণ গুণাবলী ও নফসের অবস্থার প্রতিফলন। যদি কেউ আমল করে কিন্তু মনোভাব কলুষিত থাকে, তবে মৃত্যুর আগে তার অন্তর যা লুকিয়ে রেখেছে, তা প্রকাশ পায়—এটাই তাকদীরের প্রাধান্য। ( শিফা্উল আলিল, পৃ. ২১৩)

ইমাম কুরতুবী (রহ.)

কুরতুবী বলেন: ‘এই হাদিস আমাদের শেখায়, কোনো ব্যক্তি তার আমল নিয়ে কখনও গর্বিত হওয়া উচিত নয়; বরং সর্বদা আল্লাহর ভয় ও দয়া কামনা করতে হবে।’ (আল-মুফহিম, খণ্ড ৭, পৃ. ১৮৮)

হাদিস থেকে শিক্ষা :

এই হাদিস তাকদীর, নিয়্যাত ও শেষ আমলের বাস্তবতা নিয়ে গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। মানুষের বাহ্যিক আমল আল্লাহর নিকট তখনই গ্রহণযোগ্য হয়, যখন তার অন্তর ও নিয়্যাতও খালিস হয়। আর যদি কেউ বাহ্যিকভাবে ধার্মিক দেখায়, অথচ অন্তরে কপটতা থাকে, তবে আল্লাহ তার শেষ আমল এমনভাবে ঘটিয়ে দেন যে, তার প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ পায়। সুতরাং, মানুষের দায়িত্ব হলো—আমল চালিয়ে যাওয়া, নিয়্যাত বিশুদ্ধ রাখা, এবং সর্বদা আল্লাহর কাছে উত্তম পরিণতির দোয়া করা- এভাবে দোয়া করা যেতে পারে যে,

اللَّهُمَّ اجْعَلْ خَيْرَ أَعْمَالِنَا خَوَاتِيمَهَا، وَخَيْرَ أَيَّامِنَا يَوْمَ نَلْقَاكَ

‘হে আল্লাহ! আমাদের কর্মসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কর্মটি যেন হয় আমাদের শেষ কর্ম, এবং সর্বোত্তম দিনটি যেন হয় যেদিন আমরা আপনাকে সাক্ষাৎ করব।’  (আল-হাকিম, মুস্তাদরাক: ১/৭১৩)

আল্লাহ আমাদের সকলকে ভয় ও আশার ভারসাম্যতা রক্ষা করে আমলের তাওফিক দান করুন। আমীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাদিসের কথা যে মানুষ জান্নাতের দুয়ারে গিয়েও ফিরে আসে

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

মানুষের জীবন শুধু দৃশ্যমান কর্মের সমষ্টি নয়; তার অন্তর, নিয়্যাত ও অদৃশ্য তাকদীর; এই তিনের রহস্যেই লুকিয়ে আছে তার চূড়ান্ত পরিণতি। মানুষ যতই পরিকল্পনা করুক, আল্লাহর নির্ধারিত ফয়সালার বাইরে সে এক কদমও যেতে পারে না। তবুও ইসলামের শিক্ষা হলো; আমল চালিয়ে যাওয়া, নিয়্যাত বিশুদ্ধ রাখা এবং আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা হারিয়ে না ফেলা। এই সত্যটিই মহানবী (সা.) এক গভীর হাদিসে তুলে ধরেছেন, যা তাকদীর, নিয়্যাত ও জীবনের শেষ পরিণতির বাস্তব চিত্র স্পষ্ট করে দেয়-

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعٍ بِرِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَاللهِ إِنَّ أَحَدَكُمْ أَوْ الرَّجُلَ يَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ بَاعٍ أَوْ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذِرَاعٍ أَوْ ذِرَاعَيْنِ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত।

তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী হিসেবে স্বীকৃত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্র হিসেবে) জমা থাকে। তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন রক্তপিন্ড, তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন মাংস পিন্ডাকারে থাকে। তারপর আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠান এবং তাকে রিযিক, মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য- এ চারটি বিষয় লিখার জন্য আদেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেন, কোনো ব্যক্তি জাহান্নামীদের আমল করতে থাকে।
এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত বা এক গজের তফাৎ থাকে।এমন সময় তাক্দীর তার ওপর প্রাধান্য লাভ করে আর তখন সে জান্নাতীদের আমল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি জান্নাতীদের আমল করতে থাকে।

এমন কি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত বা দু’হাত তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার উপর প্রাধান্য লাভ করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের আমল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৯৪; মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৩)বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের ব্যাখ্যা:

ইমাম নববী (রহ.) 

ইমাম নববী (রহ.) বলেন: ‘এই হাদিসের অর্থ এই নয় যে মানুষ সত্যিকার অর্থে জান্নাতিদের আমল করছিল অথচ শেষে উল্টো হয়ে গেল; বরং এর অর্থ হলো—সে বাহ্যিকভাবে জান্নাতিদের আমল করছিল, অথচ তার অন্তরে ছিল না খালিস নিয়্যাত ও ঈমান। তাই শেষপর্যন্ত তার অন্তর প্রকাশ পেয়েছে।

 (শরহ সহিহ মুসলিম, নববী, খণ্ড ১৬, পৃ. ৩৬৬)অর্থাৎ, ‘শেষের আমলই নির্ধারক’ (الخواتيم معتبرة) — যে যেমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তার পরিণতি তেমনই হয়।

ইবনে হাজর আল-আসকালানী (রহ.)

ইবনেহাজর (রহ.) ব্যাখ্যা করেন: ‘এ হাদিস তাকদীরের সত্যতার উপর দৃঢ় প্রমাণ। আল্লাহ মানুষের পরিণতি এমনভাবে নির্ধারণ করেছেন যা মানুষের কাছে অজানা। বাহ্যিকভাবে কেউ ধার্মিক মনে হলেও যদি অন্তর কলুষিত হয়, আল্লাহর ইলমে জানা থাকে তার শেষ কীরূপ হবে।’ (ফাতহুল বারী, হাদিস: ৩২০৮)

তিনি বলেন, মানুষের আমল তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফলপ্রসূ হয়; যদি নিয়্যাত বিকৃত হয়, তবে আল্লাহ শেষ পর্যন্ত সেটি প্রকাশ করে দেন।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)

ইবনুল কাইয়্যিম বলেন: ‘মানুষের শেষ অবস্থা তার অভ্যন্তরীণ গুণাবলী ও নফসের অবস্থার প্রতিফলন। যদি কেউ আমল করে কিন্তু মনোভাব কলুষিত থাকে, তবে মৃত্যুর আগে তার অন্তর যা লুকিয়ে রেখেছে, তা প্রকাশ পায়—এটাই তাকদীরের প্রাধান্য। ( শিফা্উল আলিল, পৃ. ২১৩)

ইমাম কুরতুবী (রহ.)

কুরতুবী বলেন: ‘এই হাদিস আমাদের শেখায়, কোনো ব্যক্তি তার আমল নিয়ে কখনও গর্বিত হওয়া উচিত নয়; বরং সর্বদা আল্লাহর ভয় ও দয়া কামনা করতে হবে।’ (আল-মুফহিম, খণ্ড ৭, পৃ. ১৮৮)

হাদিস থেকে শিক্ষা :

এই হাদিস তাকদীর, নিয়্যাত ও শেষ আমলের বাস্তবতা নিয়ে গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। মানুষের বাহ্যিক আমল আল্লাহর নিকট তখনই গ্রহণযোগ্য হয়, যখন তার অন্তর ও নিয়্যাতও খালিস হয়। আর যদি কেউ বাহ্যিকভাবে ধার্মিক দেখায়, অথচ অন্তরে কপটতা থাকে, তবে আল্লাহ তার শেষ আমল এমনভাবে ঘটিয়ে দেন যে, তার প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ পায়। সুতরাং, মানুষের দায়িত্ব হলো—আমল চালিয়ে যাওয়া, নিয়্যাত বিশুদ্ধ রাখা, এবং সর্বদা আল্লাহর কাছে উত্তম পরিণতির দোয়া করা- এভাবে দোয়া করা যেতে পারে যে,

اللَّهُمَّ اجْعَلْ خَيْرَ أَعْمَالِنَا خَوَاتِيمَهَا، وَخَيْرَ أَيَّامِنَا يَوْمَ نَلْقَاكَ

‘হে আল্লাহ! আমাদের কর্মসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কর্মটি যেন হয় আমাদের শেষ কর্ম, এবং সর্বোত্তম দিনটি যেন হয় যেদিন আমরা আপনাকে সাক্ষাৎ করব।’  (আল-হাকিম, মুস্তাদরাক: ১/৭১৩)

আল্লাহ আমাদের সকলকে ভয় ও আশার ভারসাম্যতা রক্ষা করে আমলের তাওফিক দান করুন। আমীন।