ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরের ঔষধি পল্লীতে বছরে শত কোটি টাকার ভেষজ উৎপাদন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০ বার

দেশের একমাত্র ঔষধি পল্লী হিসেবে পরিচিত নাটোরের লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া এখন এই জেলার এক অনন্য ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা এই পল্লীতে আসছেন এবং মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম জুড়ে এই ভেষজ পল্লীর অবস্থান। ছবির মতো সুন্দর এই পল্লীতে বছরে শুধু অ্যালোভেরাই উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টন। এছাড়া শিমুল মূল, অশ্বগন্ধাসহ ১৪০ ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ উৎপাদন হয়, যার মোট বাজার মূল্য অন্তত শত কোটি টাকা।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালের দিকে খোলাবাড়িয়া এলাকার আফাজ পাগলা তার কবিরাজি কাজে ব্যবহারের জন্য স্বউদ্যোগে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে এবং শেষে সারা ইউনিয়ন জুড়ে। শুধু আবাদি জমিই নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধারে, নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ভেষজ উদ্ভিদের রকমারি গাছ। তবে সব সৌন্দর্য ছাড়িয়ে অ্যালোভেরা গাছ সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়াতে ১৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ জন্মায়। এর মধ্যে অ্যালোভেরা ছাড়াও শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা, মিশ্রি দানা, বিটরুট, রোজেলা ও শতমূল প্রসিদ্ধ। ভেষজ উদ্ভিদের মোট ১৫৫ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ৭০ হেক্টরে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা চাষ হচ্ছে।

৫০ হেক্টর আবাদি জমি থেকে পাওয়া যায় এক হাজার ২০০ টন শিমুল মূল। ১২ হেক্টরে বিটরুট এবং পাঁচ হেক্টর মিশ্রি দানার আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টন করে ভেষজ। ১০ হেক্টর জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১২ টন অশ্বগন্ধা। ইউনিয়নের দুই হাজার কৃষক ভেষজ উদ্ভিদ চাষের সঙ্গে জড়িত।

মূলত বর্ষার শেষে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এক বিঘা জমিতে অ্যালোভেরার ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এই আবাদি জমি থেকে পরবর্তী দুই বছর অনায়াসে অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সেচের ব্যবস্থা রেখে সারিবদ্ধ এসব গাছ থেকে রোপণের ৩ মাস পর থেকে পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। চাষাবাদ, পরিচর্যা ও সেচের কাজে সারা বছর জমিতে ১০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার ছাড়াও পরিমাণমতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা ও বোরিক অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। পাতার কালো দাগ পড়া রোধে ব্যবহার করা হয় চুন। পাতা ছিদ্রকারী মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ দমনে সম্প্রতি ছত্রাকনাশক টাইকোডার্মা ও সেক্স ফেরোমেন ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বিঘাপ্রতি অ্যালোভেরার গড় উৎপাদন প্রায় ৩০ টন।

কৃষক মো. হারিছ বলেন, অ্যালোভেরার নতুন চারা রোপণের মৌসুম এখন। দীর্ঘমেয়াদী বর্ষার কারণে এবার অ্যালোভেরার পচন রোগে অনেক পাতা নষ্ট হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। চারার দরও এবার বেশি। তবে জমি প্রস্তুত করে যত্ন করে অ্যালোভেরা চাষ করতে পারলে দ্বিতীয় বছরে উৎপাদিত অ্যালোভেরার প্রায় পুরোটাই মুনাফা।

তবে অ্যালোভেরা প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো উপায় এই এলাকায় নেই। পাতা সংগ্রহ করে দ্রুতই পাঠাতে হয় গন্তব্যে। এই ভেষজ পাতা ঔষধ ও প্রসাধন শিল্পে, জুস তৈরিতে এবং শরবতে ব্যবহার করা হয়। হামদর্দ ও দু-একটি ওষুধ কোম্পানি অ্যালোভেরার পাতা ক্রয় করে থাকে। ময়মনসিংহের ভালুকায় রপ্তানিমুখী জুস তৈরিকারক বিদেশি মালিকানাধীন তাইওয়ান সিন লিন এন্টারপ্রাইজ অ্যালোভেরার বড় ক্রেতা। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ট্রাক বোঝাই অ্যালোভেরা যাচ্ছে।

উৎপাদিত ভেষজ উদ্ভিদ শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম ভেষজ ওষুধ। এর বিপণন কাজ চলছে এলাকার চারটি স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় একশোটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

আমিরগঞ্জ বাজার এলাকার বনলতা ভেষজ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী কাজী কবির আহমেদ জানান, এই বাজারে শতাধিক ভেষজ বিক্রি হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এর পাইকারি ক্রেতা। প্রতিদিনের গড় বিক্রি ৮০ হাজার টাকা।

ভেষজ উৎপাদনকারী কৃষক, সমবায় নেতা ও কবিরাজ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, অ্যালোভেরা সংরক্ষণে একটি হিমাগার নির্মাণ এবং সাবান-শ্যাম্পুসহ প্রসাধনী তৈরির কারখানা নির্মাণে উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হলে আমরা উপকৃত হবো।

খোলাবাড়িয়া হাজীগঞ্জ বাজার ভেষজ উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গ্রামে একটি ঔষধি উদ্ভিদ গবেষণা সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্যের গুণাগুণ ও মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রসাধন ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগমন ঘটবে। ফলে ভেষজ পল্লী আরও সমৃদ্ধ হবে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, ভেষজ পল্লীর প্রায় দশ হাজার মানুষ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন কিংবা কৃষি শ্রমের সঙ্গে জড়িত। ভেষজ পল্লীর পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, ভেষজ পল্লীতে হিমাগার, প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব হলে কৃষকরা লাভবান হবেন। সমৃদ্ধ হবে দেশের একমাত্র এই ঔষধি পল্লী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নাটোরের ঔষধি পল্লীতে বছরে শত কোটি টাকার ভেষজ উৎপাদন

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

দেশের একমাত্র ঔষধি পল্লী হিসেবে পরিচিত নাটোরের লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া এখন এই জেলার এক অনন্য ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা এই পল্লীতে আসছেন এবং মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম জুড়ে এই ভেষজ পল্লীর অবস্থান। ছবির মতো সুন্দর এই পল্লীতে বছরে শুধু অ্যালোভেরাই উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টন। এছাড়া শিমুল মূল, অশ্বগন্ধাসহ ১৪০ ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ উৎপাদন হয়, যার মোট বাজার মূল্য অন্তত শত কোটি টাকা।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালের দিকে খোলাবাড়িয়া এলাকার আফাজ পাগলা তার কবিরাজি কাজে ব্যবহারের জন্য স্বউদ্যোগে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে এবং শেষে সারা ইউনিয়ন জুড়ে। শুধু আবাদি জমিই নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধারে, নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ভেষজ উদ্ভিদের রকমারি গাছ। তবে সব সৌন্দর্য ছাড়িয়ে অ্যালোভেরা গাছ সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়াতে ১৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ জন্মায়। এর মধ্যে অ্যালোভেরা ছাড়াও শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা, মিশ্রি দানা, বিটরুট, রোজেলা ও শতমূল প্রসিদ্ধ। ভেষজ উদ্ভিদের মোট ১৫৫ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ৭০ হেক্টরে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা চাষ হচ্ছে।

৫০ হেক্টর আবাদি জমি থেকে পাওয়া যায় এক হাজার ২০০ টন শিমুল মূল। ১২ হেক্টরে বিটরুট এবং পাঁচ হেক্টর মিশ্রি দানার আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টন করে ভেষজ। ১০ হেক্টর জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১২ টন অশ্বগন্ধা। ইউনিয়নের দুই হাজার কৃষক ভেষজ উদ্ভিদ চাষের সঙ্গে জড়িত।

মূলত বর্ষার শেষে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এক বিঘা জমিতে অ্যালোভেরার ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এই আবাদি জমি থেকে পরবর্তী দুই বছর অনায়াসে অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সেচের ব্যবস্থা রেখে সারিবদ্ধ এসব গাছ থেকে রোপণের ৩ মাস পর থেকে পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। চাষাবাদ, পরিচর্যা ও সেচের কাজে সারা বছর জমিতে ১০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার ছাড়াও পরিমাণমতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা ও বোরিক অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। পাতার কালো দাগ পড়া রোধে ব্যবহার করা হয় চুন। পাতা ছিদ্রকারী মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ দমনে সম্প্রতি ছত্রাকনাশক টাইকোডার্মা ও সেক্স ফেরোমেন ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বিঘাপ্রতি অ্যালোভেরার গড় উৎপাদন প্রায় ৩০ টন।

কৃষক মো. হারিছ বলেন, অ্যালোভেরার নতুন চারা রোপণের মৌসুম এখন। দীর্ঘমেয়াদী বর্ষার কারণে এবার অ্যালোভেরার পচন রোগে অনেক পাতা নষ্ট হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। চারার দরও এবার বেশি। তবে জমি প্রস্তুত করে যত্ন করে অ্যালোভেরা চাষ করতে পারলে দ্বিতীয় বছরে উৎপাদিত অ্যালোভেরার প্রায় পুরোটাই মুনাফা।

তবে অ্যালোভেরা প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো উপায় এই এলাকায় নেই। পাতা সংগ্রহ করে দ্রুতই পাঠাতে হয় গন্তব্যে। এই ভেষজ পাতা ঔষধ ও প্রসাধন শিল্পে, জুস তৈরিতে এবং শরবতে ব্যবহার করা হয়। হামদর্দ ও দু-একটি ওষুধ কোম্পানি অ্যালোভেরার পাতা ক্রয় করে থাকে। ময়মনসিংহের ভালুকায় রপ্তানিমুখী জুস তৈরিকারক বিদেশি মালিকানাধীন তাইওয়ান সিন লিন এন্টারপ্রাইজ অ্যালোভেরার বড় ক্রেতা। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ট্রাক বোঝাই অ্যালোভেরা যাচ্ছে।

উৎপাদিত ভেষজ উদ্ভিদ শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম ভেষজ ওষুধ। এর বিপণন কাজ চলছে এলাকার চারটি স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় একশোটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

আমিরগঞ্জ বাজার এলাকার বনলতা ভেষজ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী কাজী কবির আহমেদ জানান, এই বাজারে শতাধিক ভেষজ বিক্রি হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এর পাইকারি ক্রেতা। প্রতিদিনের গড় বিক্রি ৮০ হাজার টাকা।

ভেষজ উৎপাদনকারী কৃষক, সমবায় নেতা ও কবিরাজ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, অ্যালোভেরা সংরক্ষণে একটি হিমাগার নির্মাণ এবং সাবান-শ্যাম্পুসহ প্রসাধনী তৈরির কারখানা নির্মাণে উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হলে আমরা উপকৃত হবো।

খোলাবাড়িয়া হাজীগঞ্জ বাজার ভেষজ উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গ্রামে একটি ঔষধি উদ্ভিদ গবেষণা সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্যের গুণাগুণ ও মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রসাধন ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগমন ঘটবে। ফলে ভেষজ পল্লী আরও সমৃদ্ধ হবে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, ভেষজ পল্লীর প্রায় দশ হাজার মানুষ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন কিংবা কৃষি শ্রমের সঙ্গে জড়িত। ভেষজ পল্লীর পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, ভেষজ পল্লীতে হিমাগার, প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব হলে কৃষকরা লাভবান হবেন। সমৃদ্ধ হবে দেশের একমাত্র এই ঔষধি পল্লী।