ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
  • ৪৬৪ বার

খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন আখ চাষে। মাদারীপুরে আখ চাষ করে চাষীরা ব্যাপক ফলন পাওয়ায় তাদের মাঝে আখ চাষের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। জেলার মাটি এটেল দো-আঁশ হওয়ায় এ মাটিতে আখ চাষে গত কয়েক বছরের মত এবারো সফলতা আশা করছেন চাষীরা। তবে ধান,পাট ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

মাদারীপুর কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৪টি উপজেলার ৭শত ৬০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষীরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পরে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় জেলায় কৃষকরা আখ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার কারনে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।

বাংলা মাসের আশ্বিন মাশেই নতুন করে আখচাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ফুট গর্ত করে পাশে তিনফুট পাশে রেখে মাটির সাথে বিভিন্ন সার মিশিয়ে ভালোমত চেলে আখের চারা রোপণ করা হয়। প্রায় এক বছর মাঝামাঝি আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়।

মাদারীপুরের কৃষকরা এ বছর হলুদ রং এর আখ, চিবিয়ে খাওয়া আখ, টেনাই, অমৃত জাতের আখের আবাদ করেছেন। এছাড়াও আখের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমের শাখ সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। তবে জেলায় নেই আখ চাষীদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নেই আখ চাষীদের জন্য কোনো প্রকল্প। এবং ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে বর্তমানে কৃষকরা। আখের ন্যায্য মূল্য দিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে, দেশ হবে স্বনির্ভর এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

আখচাষী মো. উকিল উদ্দিন খান, এসকেনদার আলি খান জানান এ বৎসর আখের ফলন ভালো হয়েছে, সে তার দু’একর জমিতে হলুদ বর্নের গ্যান্ডারি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এক জৈষ্ঠ জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ করে তা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

যে টাকা দেয়, তাকেই ভালো পরামর্শ ও সরকারি বীজ, সার দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে একথা অস্বীকার করে -রাজৈর উপজেলার উপসহকারী কর্মকর্তা পরিতোষ বলেন, মাদারীপুর দুই প্রজাতির আখ চাষ করে। কিন্তু কৃষকরা সচারচর শুধু পরমর্শটুকুই পাই, এছাড়া কৃষকরা সরকারিভাবে আর কিছুই আসে না। যদি সরকারিভাবে তাদের বীজ ও সার দেয়া যেত তাহলে অনেক কৃষকরা উপকৃত হত।

মাদারীপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাদারীপুরের মাটির গুনগত মান খুবই ভালো আর সময়মত আখের চারা রোপণ করতে পারলে ফলন অবশ্যই ভালো হয়। বর্তমানে ধান ও পাটের খরচের তুলনায় দাম কম থাকায়, আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। তবে মাদারীপুরে এই বিষয়ে কোনো প্রকল্প নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য

আপডেট টাইম : ০৪:১৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬

খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন আখ চাষে। মাদারীপুরে আখ চাষ করে চাষীরা ব্যাপক ফলন পাওয়ায় তাদের মাঝে আখ চাষের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। জেলার মাটি এটেল দো-আঁশ হওয়ায় এ মাটিতে আখ চাষে গত কয়েক বছরের মত এবারো সফলতা আশা করছেন চাষীরা। তবে ধান,পাট ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

মাদারীপুর কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৪টি উপজেলার ৭শত ৬০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষীরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পরে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় জেলায় কৃষকরা আখ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার কারনে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।

বাংলা মাসের আশ্বিন মাশেই নতুন করে আখচাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ফুট গর্ত করে পাশে তিনফুট পাশে রেখে মাটির সাথে বিভিন্ন সার মিশিয়ে ভালোমত চেলে আখের চারা রোপণ করা হয়। প্রায় এক বছর মাঝামাঝি আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়।

মাদারীপুরের কৃষকরা এ বছর হলুদ রং এর আখ, চিবিয়ে খাওয়া আখ, টেনাই, অমৃত জাতের আখের আবাদ করেছেন। এছাড়াও আখের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমের শাখ সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। তবে জেলায় নেই আখ চাষীদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নেই আখ চাষীদের জন্য কোনো প্রকল্প। এবং ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে বর্তমানে কৃষকরা। আখের ন্যায্য মূল্য দিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে, দেশ হবে স্বনির্ভর এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

আখচাষী মো. উকিল উদ্দিন খান, এসকেনদার আলি খান জানান এ বৎসর আখের ফলন ভালো হয়েছে, সে তার দু’একর জমিতে হলুদ বর্নের গ্যান্ডারি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এক জৈষ্ঠ জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ করে তা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

যে টাকা দেয়, তাকেই ভালো পরামর্শ ও সরকারি বীজ, সার দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে একথা অস্বীকার করে -রাজৈর উপজেলার উপসহকারী কর্মকর্তা পরিতোষ বলেন, মাদারীপুর দুই প্রজাতির আখ চাষ করে। কিন্তু কৃষকরা সচারচর শুধু পরমর্শটুকুই পাই, এছাড়া কৃষকরা সরকারিভাবে আর কিছুই আসে না। যদি সরকারিভাবে তাদের বীজ ও সার দেয়া যেত তাহলে অনেক কৃষকরা উপকৃত হত।

মাদারীপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাদারীপুরের মাটির গুনগত মান খুবই ভালো আর সময়মত আখের চারা রোপণ করতে পারলে ফলন অবশ্যই ভালো হয়। বর্তমানে ধান ও পাটের খরচের তুলনায় দাম কম থাকায়, আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। তবে মাদারীপুরে এই বিষয়ে কোনো প্রকল্প নেই।