ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেড় কেজি চাল বিক্রি করেও মিলছে না এক কেজি আলু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪ বার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেড় কেজি চাল বিক্রির মূল্য দিয়েও কেনা যাচ্ছে না এক কেজি আলু। আলুর মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে পুরোপুরি ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আজ শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অর্থাৎ দেড় কেজি চাল বিক্রি করেও কৃষক কিনতে পারছেন না এক কেজি আলু।

তাড়াশ পৌর বাজারে কৃষক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘ছেলে আলুর তরকারি ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তাই আলুর মূল্য নাগালের বাইরে গেলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।’

উপজেলার নওগাঁ বাজারের আলু ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন বলেন, মোকামে আলু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা প্রতিকেজি ৭৫ টাকার কমে বিক্রি করতে পারছি না।

উপজেলার গুল্টা বাজারের ষাটোর্ধ্ব বয়সের আলু ক্রেতা হযরত আলী বলেন, ‘বাবা আমার জীবদ্দশায় আলুর কেজি ৭৫ টাকা দেখিনি।’

তিনি জানান, সঠিক বাজার তদারকির অভাবে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার এমন অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাজার তদারকির দায়িত্বে থাকা সিরাজগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট খালিদ হাসান বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেড় কেজি চাল বিক্রি করেও মিলছে না এক কেজি আলু

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দেড় কেজি চাল বিক্রির মূল্য দিয়েও কেনা যাচ্ছে না এক কেজি আলু। আলুর মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে পুরোপুরি ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আজ শনিবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অর্থাৎ দেড় কেজি চাল বিক্রি করেও কৃষক কিনতে পারছেন না এক কেজি আলু।

তাড়াশ পৌর বাজারে কৃষক জালাল উদ্দীন বলেন, ‘ছেলে আলুর তরকারি ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তাই আলুর মূল্য নাগালের বাইরে গেলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।’

উপজেলার নওগাঁ বাজারের আলু ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন বলেন, মোকামে আলু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা প্রতিকেজি ৭৫ টাকার কমে বিক্রি করতে পারছি না।

উপজেলার গুল্টা বাজারের ষাটোর্ধ্ব বয়সের আলু ক্রেতা হযরত আলী বলেন, ‘বাবা আমার জীবদ্দশায় আলুর কেজি ৭৫ টাকা দেখিনি।’

তিনি জানান, সঠিক বাজার তদারকির অভাবে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার এমন অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাজার তদারকির দায়িত্বে থাকা সিরাজগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট খালিদ হাসান বলেন, ‘তাড়াশ উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।’