ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে টিআর-কাবিটা প্রকল্পের নাম পরিবর্তন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • ১০ বার

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে টিআর, কাবিটা/কাবিখা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে।

উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে নেয় প্রকল্প কমিটির লোকজন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় নায়েকপুর ইউনিয়নে “বাঁশরী পাকা রাস্তা হইতে মোয়াটি পর্যন্ত এবং মোয়াটি মোড় হইতে বাস্তা মাদ্রাসা পর্যন্ত” দেড় কি.মি. (প্রায়) রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু, দেড় কি.মি. (প্রায়) রাস্তার মধ্যে আধা কি.মি. (প্রায়) রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে অর্থাৎ এক কি.মি. (প্রায়) রাস্তা বাকী রেখেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে, তড়িঘড়ি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওই আধা কি.মি. (প্রায়) রাস্তার ভিতরেই বরাদ্দের পরিমাণ ঠিক রেখে উক্ত দুই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করেন। প্রকল্প দুটির নতুন নাম দেন “বাঁশরী ধুরজান খালের ব্রীজ হতে হেকিমের বাড়ি এবং মোয়াটি বহসনী খালের পাকা রাস্তা হতে নওবাড়ী ব্রীজ ভায়া হেকিমের বাড়ি” পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট। দেড় কি.মি.(প্রায়) মধ্যে এক কি.মি.(প্রায়) রাস্তা সংস্কার কাজ কমলেও, কমেনি প্রকল্পের বরাদ্দ।

অন্যদিকে, চন্দ্রতলা ঈদগাঁহ্ মাঠ হইতে চন্দ্রতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হয়নি। আতিকুল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত এসে কাজ রেখে দেন। যতটুকু কাজ হয়েছে তাও নামমাত্র। ওই প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আইনুল ইসলাম জানান, আমি বরাদ্দের চাইতেও বেশি মাটি কাটাইছি। আবার, চন্দ্রতলা আতিকুল মাস্টারের বাড়ি হইতে ফেরী ঘাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ জন্য বরাদ্দ দেয় ০৩ মেট্রিক টন চাল, এমন আরও একাধিক প্রকল্প আছে যেখানে নামমাত্র কাজ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, গত কয়েকদিন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গিয়ে পিআইও হুমায়ুন কবিরকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য নিতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, টিআর-কাবিটা প্রকল্পের সার্বিক কাজের প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দিতে পিআইওকে বলেছি। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে টিআর-কাবিটা প্রকল্পের নাম পরিবর্তন

আপডেট টাইম : ১২:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে টিআর, কাবিটা/কাবিখা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে।

উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে নেয় প্রকল্প কমিটির লোকজন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় নায়েকপুর ইউনিয়নে “বাঁশরী পাকা রাস্তা হইতে মোয়াটি পর্যন্ত এবং মোয়াটি মোড় হইতে বাস্তা মাদ্রাসা পর্যন্ত” দেড় কি.মি. (প্রায়) রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু, দেড় কি.মি. (প্রায়) রাস্তার মধ্যে আধা কি.মি. (প্রায়) রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে অর্থাৎ এক কি.মি. (প্রায়) রাস্তা বাকী রেখেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে, তড়িঘড়ি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওই আধা কি.মি. (প্রায়) রাস্তার ভিতরেই বরাদ্দের পরিমাণ ঠিক রেখে উক্ত দুই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করেন। প্রকল্প দুটির নতুন নাম দেন “বাঁশরী ধুরজান খালের ব্রীজ হতে হেকিমের বাড়ি এবং মোয়াটি বহসনী খালের পাকা রাস্তা হতে নওবাড়ী ব্রীজ ভায়া হেকিমের বাড়ি” পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট। দেড় কি.মি.(প্রায়) মধ্যে এক কি.মি.(প্রায়) রাস্তা সংস্কার কাজ কমলেও, কমেনি প্রকল্পের বরাদ্দ।

অন্যদিকে, চন্দ্রতলা ঈদগাঁহ্ মাঠ হইতে চন্দ্রতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হয়নি। আতিকুল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত এসে কাজ রেখে দেন। যতটুকু কাজ হয়েছে তাও নামমাত্র। ওই প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আইনুল ইসলাম জানান, আমি বরাদ্দের চাইতেও বেশি মাটি কাটাইছি। আবার, চন্দ্রতলা আতিকুল মাস্টারের বাড়ি হইতে ফেরী ঘাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ জন্য বরাদ্দ দেয় ০৩ মেট্রিক টন চাল, এমন আরও একাধিক প্রকল্প আছে যেখানে নামমাত্র কাজ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, গত কয়েকদিন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গিয়ে পিআইও হুমায়ুন কবিরকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য নিতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, টিআর-কাবিটা প্রকল্পের সার্বিক কাজের প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দিতে পিআইওকে বলেছি। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নিবো।