ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদা বাথরোবে, কফি কাপ হাতে কে এই অভিনেত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ২০ বার

সাদা বাথরোব, মাথায় মোড়ানো তোয়ালে, চোখে রোদচশমা—আর হাতে ধরা এক কাপ কফি। এমন এক অলস, অথচ সাহসী ভঙ্গিমায় বারান্দায় বসে রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী রুকমা রায়।

ছবিটি দেখে অনেকেই হয়তো ভাবছেন, কলকাতার বারান্দা কি এমন সাহসী ভঙ্গিমার জন্য উপযুক্ত? বাস্তব বলছে, না। কারণ ছবিটি কলকাতার নয়, জর্জিয়ার।

সম্প্রতি জর্জিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন রুকমা। সেখানেই তোলা হয়েছে এই ছবি। ছুটিতে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ পেলে নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না তিনি। সঙ্গে থাকেন তার বান্ধবীদের ‘গার্লস গ্যাং’। এবারেও তাদের সঙ্গেই জর্জিয়া সফর সেরে ফিরেছেন অভিনেত্রী। ভ্রমণের আমেজ এখনও কাটেনি তার গলায়।

তবে কি অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন বলেই এই ঘোরাঘুরি? এমন প্রশ্নে রুকমা জানালেন, “কাজের কথা চলছে। তবে মনমতো চরিত্র পছন্দ হচ্ছে না। আমি বসে নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করছি, ওজন কমাচ্ছি। মঞ্চে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করছি। অনেক দিন বাইরে যাইনি, তাই বেরিয়ে পড়লাম।”

তিনি আরও জানান, জর্জিয়া থেকে ফিরে তাঁর মধ্যেও ফিরে এসেছে অভিনয়ের খিদে। “অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে। এবার আবার ফিরতে হবে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়,” বললেন রুকমা।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে রুকমা জানান, তিনি ঘুরেছেন তিবলিসি, বাটুমি ও কাজবেগি। তিবলিসিতে রোদ-বৃষ্টির খেলা, চার্চ, কাচের সেতু, রঙিন বাড়ি এবং বিখ্যাত ‘মাদার অফ জর্জিয়া’ মূর্তি তাকে মুগ্ধ করেছে। বাটুমিতে পাহাড় আর সমুদ্রের সহাবস্থান অভিনেত্রীর মনে গেঁথে গেছে।

কিংখালি, কাচ্চিপুরি, নানা কাবাব, রোল, টার্কিশ চা—সবই চেখেছেন মন ভরে। এমনকি ভারতীয় খাবারের দোকানে খাওয়া ডাল এখনও তার জিভে লেগে আছে বলে জানান অভিনেত্রী। ডালের সঙ্গে ছিল প্রচুর সালাদও।

একটি ছোট্ট ঘটনার কথা জানিয়ে রুকমা বলেন, “তিবলিসি থেকে বাটুমি যাওয়ার পথে ট্রেন হঠাৎ থামল। দেখি ট্রেনের গার্ড নেমে রুটি নিয়ে পথপশুদের খাওয়াচ্ছেন। শুধু একদিন নয়, প্রতিদিনই নাকি এমন করেন। আরও অনেকেই খাবার নিয়ে আসেন। বিষয়টা আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।”

রুকমার এই সফর যেন শুধুই বেড়ানো নয়, বরং জীবনের প্রতি নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার গল্প।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদা বাথরোবে, কফি কাপ হাতে কে এই অভিনেত্রী

আপডেট টাইম : ১১:০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সাদা বাথরোব, মাথায় মোড়ানো তোয়ালে, চোখে রোদচশমা—আর হাতে ধরা এক কাপ কফি। এমন এক অলস, অথচ সাহসী ভঙ্গিমায় বারান্দায় বসে রয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী রুকমা রায়।

ছবিটি দেখে অনেকেই হয়তো ভাবছেন, কলকাতার বারান্দা কি এমন সাহসী ভঙ্গিমার জন্য উপযুক্ত? বাস্তব বলছে, না। কারণ ছবিটি কলকাতার নয়, জর্জিয়ার।

সম্প্রতি জর্জিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন রুকমা। সেখানেই তোলা হয়েছে এই ছবি। ছুটিতে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ পেলে নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না তিনি। সঙ্গে থাকেন তার বান্ধবীদের ‘গার্লস গ্যাং’। এবারেও তাদের সঙ্গেই জর্জিয়া সফর সেরে ফিরেছেন অভিনেত্রী। ভ্রমণের আমেজ এখনও কাটেনি তার গলায়।

তবে কি অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন বলেই এই ঘোরাঘুরি? এমন প্রশ্নে রুকমা জানালেন, “কাজের কথা চলছে। তবে মনমতো চরিত্র পছন্দ হচ্ছে না। আমি বসে নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করছি, ওজন কমাচ্ছি। মঞ্চে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করছি। অনেক দিন বাইরে যাইনি, তাই বেরিয়ে পড়লাম।”

তিনি আরও জানান, জর্জিয়া থেকে ফিরে তাঁর মধ্যেও ফিরে এসেছে অভিনয়ের খিদে। “অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে। এবার আবার ফিরতে হবে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়,” বললেন রুকমা।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে রুকমা জানান, তিনি ঘুরেছেন তিবলিসি, বাটুমি ও কাজবেগি। তিবলিসিতে রোদ-বৃষ্টির খেলা, চার্চ, কাচের সেতু, রঙিন বাড়ি এবং বিখ্যাত ‘মাদার অফ জর্জিয়া’ মূর্তি তাকে মুগ্ধ করেছে। বাটুমিতে পাহাড় আর সমুদ্রের সহাবস্থান অভিনেত্রীর মনে গেঁথে গেছে।

কিংখালি, কাচ্চিপুরি, নানা কাবাব, রোল, টার্কিশ চা—সবই চেখেছেন মন ভরে। এমনকি ভারতীয় খাবারের দোকানে খাওয়া ডাল এখনও তার জিভে লেগে আছে বলে জানান অভিনেত্রী। ডালের সঙ্গে ছিল প্রচুর সালাদও।

একটি ছোট্ট ঘটনার কথা জানিয়ে রুকমা বলেন, “তিবলিসি থেকে বাটুমি যাওয়ার পথে ট্রেন হঠাৎ থামল। দেখি ট্রেনের গার্ড নেমে রুটি নিয়ে পথপশুদের খাওয়াচ্ছেন। শুধু একদিন নয়, প্রতিদিনই নাকি এমন করেন। আরও অনেকেই খাবার নিয়ে আসেন। বিষয়টা আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।”

রুকমার এই সফর যেন শুধুই বেড়ানো নয়, বরং জীবনের প্রতি নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার গল্প।