ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমানে না উঠেও আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পরিচালকের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ৩০ বার

গুজরাটি পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ওরফে মহেশ জিরাওয়ালার, অন্যান্য দিনের মতোই কারও সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেরি হয়েছিলেন। কিন্তু আর ফেরা হলো না। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশেই। আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সরাসরি পড়েননি, তবুও প্রাণ গেল তার। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই থেমে গেল এক প্রতিভাবান নির্মাতার জীবনযাত্রা।

গত ১২ জুন সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহেশ। আহমেদাবাদের ল গার্ডেন এলাকা থেকে কাউকে দেখতে বেরিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তারপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি তার সঙ্গে। সন্ধান না মেলায় পরিবার মিসিং ডায়েরি দায়ের করে।

তদন্তে নামে পুলিশ ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। শেষমেশ তার মোবাইলের লোকেশন মেলে বিমান দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। সেইসঙ্গে শাহিবাগ অঞ্চলের একটি দুর্ঘটনাস্থলে পুড়ে যাওয়া একটি স্কুটার থেকে মেলে ক্লু। ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর মিলিয়ে জানা যায়, সেটি মহেশ জিরাওয়ালার নামে রেজিস্টার করা।

তবু বিশ্বাস করতে পারছিল না পরিবার। তারা বলছিল, উনি নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। কিন্তু সব আশা শেষ করে দেয় ডিএনএ রিপোর্ট। পোড়া দেহাংশের নমুনা মহেশের সঙ্গে মিলে গেলে নিশ্চিত হয় পুলিশ—তারই মৃত্যু হয়েছে ওই দুর্ঘটনায়।

পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ছিলেন গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক উদীয়মান মুখ। চিত্রনাট্য লেখা ও প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনার কাজও করছিলেন নিয়মিত। সামনে বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে কাজ করার কথা ছিল তার। সব পরিকল্পনা থেমে গেল এক নিষ্ঠুর ঘটনার ধাক্কায়।

পরিবার জানিয়েছে, স্বপ্ন দেখতেন অনেক, কাজ নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না, ও নেই।আহমেদাবাদে ওইদিন ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানির পাশাপাশি যারা সরাসরি বিমানে ছিলেন না, তাদেরও জীবন কেড়ে নিল নিয়তির নির্মম পরিহাস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিমানে না উঠেও আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল পরিচালকের

আপডেট টাইম : ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

গুজরাটি পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ওরফে মহেশ জিরাওয়ালার, অন্যান্য দিনের মতোই কারও সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেরি হয়েছিলেন। কিন্তু আর ফেরা হলো না। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশেই। আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সরাসরি পড়েননি, তবুও প্রাণ গেল তার। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই থেমে গেল এক প্রতিভাবান নির্মাতার জীবনযাত্রা।

গত ১২ জুন সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহেশ। আহমেদাবাদের ল গার্ডেন এলাকা থেকে কাউকে দেখতে বেরিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তারপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি তার সঙ্গে। সন্ধান না মেলায় পরিবার মিসিং ডায়েরি দায়ের করে।

তদন্তে নামে পুলিশ ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। শেষমেশ তার মোবাইলের লোকেশন মেলে বিমান দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। সেইসঙ্গে শাহিবাগ অঞ্চলের একটি দুর্ঘটনাস্থলে পুড়ে যাওয়া একটি স্কুটার থেকে মেলে ক্লু। ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর মিলিয়ে জানা যায়, সেটি মহেশ জিরাওয়ালার নামে রেজিস্টার করা।

তবু বিশ্বাস করতে পারছিল না পরিবার। তারা বলছিল, উনি নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। কিন্তু সব আশা শেষ করে দেয় ডিএনএ রিপোর্ট। পোড়া দেহাংশের নমুনা মহেশের সঙ্গে মিলে গেলে নিশ্চিত হয় পুলিশ—তারই মৃত্যু হয়েছে ওই দুর্ঘটনায়।

পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ছিলেন গুজরাটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক উদীয়মান মুখ। চিত্রনাট্য লেখা ও প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনার কাজও করছিলেন নিয়মিত। সামনে বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে কাজ করার কথা ছিল তার। সব পরিকল্পনা থেমে গেল এক নিষ্ঠুর ঘটনার ধাক্কায়।

পরিবার জানিয়েছে, স্বপ্ন দেখতেন অনেক, কাজ নিয়েই মগ্ন থাকতেন। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না, ও নেই।আহমেদাবাদে ওইদিন ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানির পাশাপাশি যারা সরাসরি বিমানে ছিলেন না, তাদেরও জীবন কেড়ে নিল নিয়তির নির্মম পরিহাস।