ক্যানসার নিয়ে কাজ করা ১৯টি সংগঠনের জোট বাংলাদেশে ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এওয়ারনেস ফোরাম’ স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুরো মাস জুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ক্যানসার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সী ফর রিসার্চ অন ক্যানসার বা আইএআরসি’র হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যানসারআক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে ৭ হাজারই মৃত্যুবরণ করেন।
স্তন ক্যানসার যারা আক্রান্ত হন তারা কি সামাজিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েন কিনা সেই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এওয়ারনেস ফোরামে’র প্রধান সমন্বয়ক ডা: মো: হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলছিলেন, “অনেক সময় দেখা যাচ্ছে একজন নারী স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হবার পর তার ডিভোর্স হয়ে যায় অথবা তাকে বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে হয়। এরপর চিকিৎসার ব্যয় মেটাতেও অনেককে হিমশিম খেতে হয়। অনেকের পক্ষে ব্যয় বহণ করা সম্ভবও হয় না”।
মি: তালুকদার আরও বলেছেন, সমাজে ধনী-গরীব শিক্ষিত ও অশিক্ষিত অনেক পরিবারেই স্তন ক্যানসারের কারণে ডিভোর্সের উদাহরণ রয়েছে। সামাজিকভাবে যথেষ্ট হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের নারীদের বেশিরভাগই জানেন না এই স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে।
তিনি বলছিলেন, স্তন ক্যানসার নিয়ে নারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও সচেতনতা বেড়েছে তবে চিকিৎসা সুবিধা এখনও অপ্রতুল। যেভাবে এ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়া প্রয়োজন ছিল সেভাবে হয়নি বলে মনে করছেন তিনি।
ডা: মো: হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন- চিকিৎসায় সহায়তার জন্য টাঙ্গাইলে সরকার একটি পাইলট প্রজেক্ট নিয়েছে, কিন্তু প্রচার না থাকায় ক্যানসার আক্রান্তরা এই সুবিধা নিতে পারছেন না। স্তন ক্যানসার আক্রান্তদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনলে গরীব রোগীদের জন্য তা অনেক সহায়ক হবে।