জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে রাতের আধাঁরে বিদ্যালয়ের জমিতে ঘর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শ্রীধরপুর সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীধরপুর গ্রামের হাজী শামছুল হক ১৯৯৪ সালে বালালী মৌজায় ১২২৬ খতিয়ানে ১১ ও ১০ নং দাগে মোট ৩৩ শতাংশ জমি শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয় এবং ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। পূর্ব থেকেই বিদ্যালয়ের উত্তরপাশে একটি গর্ত ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছর সরকারি অর্থায়নে গর্ত ভরাট করে শিশুদের খেলাধুলার জন্য ছোট্ট মাঠ তৈরি করা হয়। গত কয়েক বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে আম্বিয়া আক্তার নামের এক বাসিন্দা বসবাস করে। গর্ত ভরাট করার পর থেকেই ওই আম্বিয়া মাঠের একাংশ দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছেন। এ নিয়ে কয়েকবার বাধা দেয়া হয়। বাধা উপেক্ষা করে ওই মহিলা ২৫ মে রাতে তার লোকবল নিয়ে মাঠের উত্তর পাশে অবৈধভাবে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে। এতে করে শিশুদের খেলাধুলার বন্ধ হয়ে গেছে । এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অপিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তরপাশে মাঠের একাংশের উপর একটি টিনশেড ঘর তৈরি করার দৃশ্য চোখে পড়ে।
অভিযুক্ত আম্বিয়া আক্তার বলেন, এ জমিটি আমার। হাফিজুর অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করতেছে। পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে ছিলো আমি যাইনি।
জমিদাতা হাজী শামছুল হক বলেন, এই জমিটি প্রায় ৩০ বছর হল বিদ্যালয়ের নামে দলিল মূলে দান করে দিয়েছি। আম্বিয়া এখন বলে এই জমি তার।
শিক্ষা অফিসার সাঈদা রুবায়েত জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে অবৈধভাবে টিনশেড নির্মাণের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি ইউএনও স্যারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও অলিদুজ্জামান জানান, অভিযোগটি আমি এখনো পাইনি। হয়তো ডাক ফাইলে আছে। স্কুলের জমি দখল করে কেহ ঘর নির্মাণ করে থাকলে সার্ভেয়ার ধারা জমিটি পরিমাপ করে উচ্ছেদের করা হবে।