ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ড. মাহাথির মোহাম্মদের চট্টগ্রামসংক্রান্ত অগ্রজ ও শৈশবের কাহিনি তাড়াইলে জনতার ভালোবাসায় আপ্লুত ড. ওসমান ফারুক: ‘করিমগঞ্জ–তাড়াইলে মানুষের ভালোবাসাই আমার প্রেরণা দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়—ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাসাফ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’   দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়—আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাসাফ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সংসদ গঠন করতে হবে : সালাহউদ্দিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিএনপি কৃষকদের হাতকে শক্তিশালী করবে সর্বমহলেই তারেক রহমানের প্রশংসা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ১৫০ বার

জুলাই গণ-অভুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নাজমুল হুদা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কমেন্ট করার অপরাধে ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে নাজমুল হুদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সম্প্রতি, ফেসবুকে স্যাড রিয়েক্ট দেওয়ায় সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে শোকজ করার ঘটনার পর নাজমুল হুদার বরখাস্তের তথ্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিশিয়াল সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি শুধু ডেস্ক অফিসার হিসেবে স্বাক্ষর করেছি।’

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে সারজিস আলমের একটি পোস্টে নাজমুল হুদা কমেন্ট লেখেন, ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন।’ কমেন্টের পরের দিনই নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ভুক্তভোগী নাজমুলকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৩ মার্চ বিভাগীয় মামলাও রুজু করা হয়।

মামলার অভিযোগনামায় বলা হয়, ‘আপনার উপরিউক্ত মন্তব্য/বক্তব্য জাতীয় ঐক্য চেতনার পরিপন্থী—যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যে মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়গণদের হেয় করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারী হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে এ ধরনের মন্তব্য/বক্তব্য প্রদান সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।’

এদিকে, নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এজাহারের কপির ছবি দিয়ে ১৭ মে রাতে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সার্জিস আলমকেও স্যার ডাকতে হবে নাকি এখন?।’ ওই পোস্টে সারজিস আলম মন্তব্যে লেখেন, তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। শাস্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ করবেন। তা ছাড়া চাকরি ফিরে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে ভুক্তভোগী নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারজিস আলম যোগাযোগ করেছে। তবে সে ভালোভাবে বললে বরখাস্তের আদেশ বাতিল হতো।’ কমেন্টের বিষয়ে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের চাপে সেই কমেন্ট তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।

সূত্রঃ আজকের পত্রিকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ড. মাহাথির মোহাম্মদের চট্টগ্রামসংক্রান্ত অগ্রজ ও শৈশবের কাহিনি

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

জুলাই গণ-অভুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নাজমুল হুদা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কমেন্ট করার অপরাধে ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে নাজমুল হুদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সম্প্রতি, ফেসবুকে স্যাড রিয়েক্ট দেওয়ায় সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে শোকজ করার ঘটনার পর নাজমুল হুদার বরখাস্তের তথ্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিশিয়াল সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি শুধু ডেস্ক অফিসার হিসেবে স্বাক্ষর করেছি।’

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে সারজিস আলমের একটি পোস্টে নাজমুল হুদা কমেন্ট লেখেন, ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন।’ কমেন্টের পরের দিনই নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ভুক্তভোগী নাজমুলকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৩ মার্চ বিভাগীয় মামলাও রুজু করা হয়।

মামলার অভিযোগনামায় বলা হয়, ‘আপনার উপরিউক্ত মন্তব্য/বক্তব্য জাতীয় ঐক্য চেতনার পরিপন্থী—যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যে মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়গণদের হেয় করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারী হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে এ ধরনের মন্তব্য/বক্তব্য প্রদান সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।’

এদিকে, নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এজাহারের কপির ছবি দিয়ে ১৭ মে রাতে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সার্জিস আলমকেও স্যার ডাকতে হবে নাকি এখন?।’ ওই পোস্টে সারজিস আলম মন্তব্যে লেখেন, তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। শাস্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ করবেন। তা ছাড়া চাকরি ফিরে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে ভুক্তভোগী নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারজিস আলম যোগাযোগ করেছে। তবে সে ভালোভাবে বললে বরখাস্তের আদেশ বাতিল হতো।’ কমেন্টের বিষয়ে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের চাপে সেই কমেন্ট তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।

সূত্রঃ আজকের পত্রিকা