ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৫ বার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে সভায় আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয় এবং ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে। এ ছাড়া সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তবে এসব সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত রবিবার দুপুর ৩টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন,‘সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আমরা। সিন্ডিকেট সভা শেষে কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। সভা শেষে সবাই পেছনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।’

তারা জানান, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে

আপডেট টাইম : ১১:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে সভায় আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয় এবং ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে। এ ছাড়া সব আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তবে এসব সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত রবিবার দুপুর ৩টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন,‘সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আমরা। সিন্ডিকেট সভা শেষে কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। সভা শেষে সবাই পেছনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।’

তারা জানান, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।