সহজলভ্য খাবারের মধ্যে প্রথমেই আসে বাদামের কথা। কর্মব্যস্ত জীবনে বাদাম খাওয়ার মতো অবসর অনেকেরই নেই। বেড়াতে গেলে আমরা বাদাম খাওয়ার বদলে ফাস্ট ফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ছি। যদিও বাদামের পুষ্টিগুণ অন্যান্য খাবারের চেয়ে বেশি। বাদাম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাজারে কয়েক ধরণের বাদাম পাওয়া যায়। চিনাবাদাম ও কাঠ বাদাম ছাড়া অন্য জাতের বাদামগুলোর দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। আখরোট, কাজু, আমন্ড, পেস্তা, চেস্ট নাট, ব্রাজিল নাট প্রভৃতি বাদামেরই পুষ্টিগুণ আছে।
বাদামের যত পুষ্টিগুণ-
বাদামের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস সকল প্রকার খাদ্যগুন রয়েছে। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম ও রোগমুক্ত থাকে।
বাদামের উপকারিতা-
থাইরয়েডকে রোগমুক্ত রাখে
বাদাম থাইরয়েডের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে বাদাম হাইপো ও হাইপার উভয় থাইরয়েডের জন্য উপকারী।
ত্বকের সুরক্ষায় বাদাম
কাঠবাদামে আছে ভারী ময়েশ্চারাইজার। ভারী হলেও এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রন দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন না, তাদের জন্য বাদাম অনেক উপকারী।
ক্যান্সার
বাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃৎসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। একটি আটার রুটির সঙ্গে এক চামচ বাদামের মাখন খেলে তা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টোরল কমায়
বাদাম কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে সাহয্য করে চিনাবাদাম ভাল কোলেস্টোরল তৈরি করে এবং খারাপ কোলেস্টোরল দূর করে থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রন
বাদাম খেলে শরীরে মেদ জমে। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে অন্যান্য খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম খেয়ে মানুষ ওজন, ক্ষুধা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
হাঁপানি
যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভুগছেন, তারা যদি নিয়মিত গরম দুধের সঙ্গে আখরোট খান তাহলে হাঁপানির সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবেন।
স্মৃতিশক্তি
স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে বাদাম বিশেষভাবে কাজ করে। মস্তিষ্কের যে কোষগুলো স্মৃতি সংরক্ষণ করে নিয়মিত বাদাম খেলে সে কোষগুলো সজাগ থাকে। ফলে বাচ্চাদের নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করালে তারা প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী হতে পারে।