এটা বলতে পারি, দর্শক আমাকে এমন চরিত্রে আগে দেখেননি।
দুর্দান্ত। মিথিলার সবচেয়ে বড় গুণ, টিমমেট হতে পারে। মুহূর্তের মধ্যেই ইউনিটের সবাইকে আপন করে নিতে পারে সে। এই ছবিতে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য আছে। যেমন একটি দৃশ্যে তাঁকে চরকিতে বেঁধে রাখা হয়। দূর থেকে সেই চরকিতে ছুরি ছুড়তে থাকে একজন। আমরা বলেছিলাম ডামি দিয়ে করতে। কিন্তু মিথিলা নিজেই দৃশ্যটি করেছে। কতটা ডেডিকেশন থাকলে কোনো অভিনেত্রী এমন ঝুঁকি নিতে পারে!
অরুণ চৌধুরী গুণী নির্মাতা। আপনার কাছ থেকে তিনি কতটা আদায় করে নিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন?
অরুণদা তো অসাধারণ। গল্পটি যেদিন শুনিয়েছিলেন, সেদিনই আমি ভেতরে ভেতরে তৈরি হয়েছিলাম। শুটিং স্পটে কোনো দৃশ্যে খুব একটা রিপিট করতে হয়নি। দাদাও দৃশ্য ধারণের আগে নিজের মতো করে বুঝিয়ে দিতেন, কী চান তিনি। তবে এটা বলতে চাই, ‘কারাগার’ বা ‘কালপুরুষ’-এর চরিত্রগুলো থেকে হোসেন মাঝি চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। দাদা সেটা আমার থেকে বের করেও নিয়েছেন।
২০১০ সালে ‘জাগো’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। ১৫ বছর পরে দ্বিতীয় ছবি। এত অপেক্ষা কেন?
আসলে ‘জলে জ্বলে তারা’র মতো একটা ছবির অপেক্ষায় ছিলাম এত দিন। অফার যে পাইনি তা নয়। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, নিজেকে দেখানোর মতো কোনো চরিত্র না পেলে ছবিতে অভিনয় করব না। ১৫ বছর কেন অপেক্ষা করেছি সেটা এই ছবি দেখলে আপনারাই বুঝতে পারবেন।
আমাদের দেশে সাধারণত তারকারা লুক বদলাতে চান না। আপনি সেটা নিয়মিতই করেন। দর্শকের সাড়া পান কেমন?
একটা উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। চরিত্রের জন্য ৪৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। পরে সেটা কমাতেও কম কষ্ট হয়নি। তবে এই প্রজন্মের অভিনেতারা যখন আমাকে দেখে ‘মি. জেন্টেলম্যান অ্যাক্টর’ বলে ডাকে, তখন খুব ভালো লাগে। মনে তৃপ্তি পাই। সব সময়ই চেয়েছি আমাকে দেখে আর দশটা নাঈমের জন্ম হোক।
ওটিটিতে নতুন কী করছেন?
এটা তো এখন বলা যাবে না। তবে হ্যাঁ, আরেকটা ধামাকা আসছে সেটা জানিয়ে রাখছি। হয়তো ঈদেই দেখতে পাবেন।
বড় পর্দায় নিয়মিত হবেন এবার?
যদি সুযোগ দেন নির্মাতারা তাহলে নিয়মিত হব। তবে শর্ত আছে, আগে আমার গল্প পছন্দ হতে হবে। আমি তো সব সময় শুটের মধ্যেই আছি। কখনো নাটক, কখনো টেলিছবি আর ওটিটি তো আছেই। এই যে আজকেও কিন্তু আমি শুটিংয়ে। একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের শুট করছি। আমার দর্শক তো নিয়মিতই আমাকে পর্দায় দেখছে, হোক সেটা ছোট পর্দা। শুধু শুধু বড় পর্দায় কাজ করার জন্য যা-তা ছবি করতে পারব না।
আপনি তো গানেরও মানুষ। নতুন গানের খবর কী?
গান তো করছিই। তবে ভালোবাসা দিবসে কোনো গান প্রকাশ করব না। ঈদের অপেক্ষা করছি। ঈদে ‘ভালোবাসার ঘর’ নামে একটি গান প্রকাশ করব। লেখা-সুরও আমার। সঙ্গে আছে আমার ব্যান্ডের পার্টনার রাশা চাকলাদার।