ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোগের শুরুতেই ক্যানসারের চিকিৎসা নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৮ বার

মানবদেহে প্রায় দুশ ধরনের ক্যানসার আক্রমণ করে বসতে পারে। নানা ধরনের ক্যানসারের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার একটি। এটি হলো, প্রোস্টেট টিস্যুতে তৈরি হওয়া মারাত্মক ধরনের টিউমার। এ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা এক ধরনের ভীতির মধ্যে বসবাস করে থাকেন। তিনি যেন স্নায়বিকভাবে দুর্বলতা অনুভব না করেন, এ জন্য তাকে নিয়মিত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা : বর্তমানে প্রোস্টেট ক্যানসার নিরাময়ের অতিপরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি হলো অপারেশন বা অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রোস্টেট বা এটির একটি অংশ মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব। অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ রেডিয়েশনের সমন্বয়ে রেডিওথেরাপি গঠিত হয়। অন্তঃস্থ রেডিয়েশন সাধারণত প্রোস্ট্যাটেকটোমি অথবা পেলভিক লিম্ফাডেনেকটোমির মাধ্যমে গঠিত। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ রেডিয়েশন বোন মেটাস্টাসিস থেকে উদ্ভুত ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে এবং ক্ষত সারাতে পারে। কেমোথেরাপি হলো, কেমিক্যাল ব্যবহার করে প্রোস্টেট ক্যানস্যারের ধারাবাহিক চিকিৎসা, যেটি কার্যকরভাবে ক্যানসারকোষের বিস্তার এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

বায়োলজিক্যাল থেরাপি : বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি, যেটির অন্য নাম অটোইমিউন কোষথেরাপি। এটির কাজ হলো টিউমার, ডিসি এবং সিআই মনোসাইটের বিপরীতের বিশেষ কোষগুলো মানবদেহের প্রান্তস্থ রক্ত থেকে আলাদা করা এবং ল্যাবরেটরিতে কোষ কালচার ও প্রলিফিরেশনের পর আবার তা রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা। এটি টিউমার কোষ মেরে ফেলে এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি আরও যে ধরনের সুবিধা দেয় তা হলোÑ এটি সহজ মেটাস্টাসিস, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং আরও যে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে (অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি) তার ঘাটতি পূরণ করে।

বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি : প্রোস্টেট ক্যানসার চিকিৎসায় বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে, অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপির সময় রয়ে যাওয়া ক্ষত অথবা ক্যানসার কোষ এটি কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারে। এতে রেডিওথেরাপির রোগীর সংবেদনশীলতা বাড়ায়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায় এবং কেমোথেরাপির আরোগ্য প্রভাব উন্নত করে। ইমিউনিটি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সোমাটোসাইট মেরামত করে রোগীর জীবনের মানোন্নয়ন করে। যেসব রোগী শেষ ধাপে আছেন অথবা অস্ত্রোপচার করার অবস্থা নেই বা রিকারেন্স ও মেটাস্টাসিস হয়েছে, এ চিকিৎসা তাদের খুব দ্রুত রোগশয্যার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়। অনেক রোগীই এ চিকিৎসায় ভালো ফলাফল পাবেন। যেমনÑ টিউমার কমে যাওয়া বা টিউমার নিয়ে অনেকদিন বেঁচে থাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোগের শুরুতেই ক্যানসারের চিকিৎসা নিন

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মানবদেহে প্রায় দুশ ধরনের ক্যানসার আক্রমণ করে বসতে পারে। নানা ধরনের ক্যানসারের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার একটি। এটি হলো, প্রোস্টেট টিস্যুতে তৈরি হওয়া মারাত্মক ধরনের টিউমার। এ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা এক ধরনের ভীতির মধ্যে বসবাস করে থাকেন। তিনি যেন স্নায়বিকভাবে দুর্বলতা অনুভব না করেন, এ জন্য তাকে নিয়মিত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা : বর্তমানে প্রোস্টেট ক্যানসার নিরাময়ের অতিপরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি হলো অপারেশন বা অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রোস্টেট বা এটির একটি অংশ মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব। অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ রেডিয়েশনের সমন্বয়ে রেডিওথেরাপি গঠিত হয়। অন্তঃস্থ রেডিয়েশন সাধারণত প্রোস্ট্যাটেকটোমি অথবা পেলভিক লিম্ফাডেনেকটোমির মাধ্যমে গঠিত। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ রেডিয়েশন বোন মেটাস্টাসিস থেকে উদ্ভুত ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে এবং ক্ষত সারাতে পারে। কেমোথেরাপি হলো, কেমিক্যাল ব্যবহার করে প্রোস্টেট ক্যানস্যারের ধারাবাহিক চিকিৎসা, যেটি কার্যকরভাবে ক্যানসারকোষের বিস্তার এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

বায়োলজিক্যাল থেরাপি : বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি, যেটির অন্য নাম অটোইমিউন কোষথেরাপি। এটির কাজ হলো টিউমার, ডিসি এবং সিআই মনোসাইটের বিপরীতের বিশেষ কোষগুলো মানবদেহের প্রান্তস্থ রক্ত থেকে আলাদা করা এবং ল্যাবরেটরিতে কোষ কালচার ও প্রলিফিরেশনের পর আবার তা রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা। এটি টিউমার কোষ মেরে ফেলে এবং মেটাস্টাসিস হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি আরও যে ধরনের সুবিধা দেয় তা হলোÑ এটি সহজ মেটাস্টাসিস, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং আরও যে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে (অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি) তার ঘাটতি পূরণ করে।

বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপি : প্রোস্টেট ক্যানসার চিকিৎসায় বায়োলজিক্যাল ইমিউনোথেরাপির সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে, অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপির সময় রয়ে যাওয়া ক্ষত অথবা ক্যানসার কোষ এটি কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারে। এতে রেডিওথেরাপির রোগীর সংবেদনশীলতা বাড়ায়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায় এবং কেমোথেরাপির আরোগ্য প্রভাব উন্নত করে। ইমিউনিটি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সোমাটোসাইট মেরামত করে রোগীর জীবনের মানোন্নয়ন করে। যেসব রোগী শেষ ধাপে আছেন অথবা অস্ত্রোপচার করার অবস্থা নেই বা রিকারেন্স ও মেটাস্টাসিস হয়েছে, এ চিকিৎসা তাদের খুব দ্রুত রোগশয্যার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়। অনেক রোগীই এ চিকিৎসায় ভালো ফলাফল পাবেন। যেমনÑ টিউমার কমে যাওয়া বা টিউমার নিয়ে অনেকদিন বেঁচে থাকা।