ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার মালিকানা নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়কর পরিকল্পনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ বিস্ময়কর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

যদিও ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে তার এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি।

আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজার মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করব। সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব। আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি অনেক মাস ধরে এটি নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং আমি একে প্রতিটি ভিন্ন কোণ থেকে ভেবে দেখেছি। এটি খুব বিপজ্জনক জায়গা এবং এটি কেবল খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি মনে করি, এই ধারণাটি অসাধারণ হয়েছে এবং আমি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তর থেকেই এই কথা বলছি এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে, আমরা তা করব।’

এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এর অর্থ দুই-রাষ্ট্র বা এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হলো আমরা চাই মানুষকে জীবনের সুযোগ দিতে। তারা জীবনে কখনো সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।’

ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন এবং তারা সেখানে বাস করবেন। ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে।’

তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট হয়ে উঠবে। আমাদের কাছে এমন কিছু করার সুযোগ রয়েছে যা অসাধারণ হতে পারে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজার মালিকানা নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়কর পরিকল্পনা

আপডেট টাইম : ০৬:০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ বিস্ময়কর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

যদিও ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে তার এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি।

আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজার মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করব। সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।’

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব। আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি অনেক মাস ধরে এটি নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং আমি একে প্রতিটি ভিন্ন কোণ থেকে ভেবে দেখেছি। এটি খুব বিপজ্জনক জায়গা এবং এটি কেবল খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি মনে করি, এই ধারণাটি অসাধারণ হয়েছে এবং আমি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তর থেকেই এই কথা বলছি এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে, আমরা তা করব।’

এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এর অর্থ দুই-রাষ্ট্র বা এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হলো আমরা চাই মানুষকে জীবনের সুযোগ দিতে। তারা জীবনে কখনো সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।’

ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন এবং তারা সেখানে বাস করবেন। ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে।’

তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট হয়ে উঠবে। আমাদের কাছে এমন কিছু করার সুযোগ রয়েছে যা অসাধারণ হতে পারে।’