ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-সন্তানসহ সাদেক খানের ৫০টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার

ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌস খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি অ্যাকাউন্টের ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে, সাদেক খানের ১৮টি, তার স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছে। এছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ দশমিক ৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ প্রয়োজন।

ফাহিম সাদেক খানের আবেদনে বলা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ দখলে রেখেছে। নিজ নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফাহিম সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনও পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের স্ত্রীর অবরুদ্ধ আবেদন বলা হয়েছে, মিসেস ফেরদৌস খান অসৎ উদ্দেশে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যর সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছে। নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি মিসেস ফেরদৌসী খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রী-সন্তানসহ সাদেক খানের ৫০টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

আপডেট টাইম : ০৬:২৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌস খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি অ্যাকাউন্টের ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে, সাদেক খানের ১৮টি, তার স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছে। এছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ দশমিক ৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ প্রয়োজন।

ফাহিম সাদেক খানের আবেদনে বলা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ দখলে রেখেছে। নিজ নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফাহিম সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনও পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের স্ত্রীর অবরুদ্ধ আবেদন বলা হয়েছে, মিসেস ফেরদৌস খান অসৎ উদ্দেশে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যর সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছে। নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি মিসেস ফেরদৌসী খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।