নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বিয়ের ১৬ দিন পর মুক্তা নামের এক গৃহবধূকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা শহরের কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুক্তার স্বামী রানাকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তা উপজেলার কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নুর মেয়ে। অভিযুক্ত রানা তার মায়ের মতামত ছাড়াই ১৬ দিন আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মধ্যে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। গতকাল গভীর রাতে মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী মুক্তাকে ঘরের মধ্যে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। রানা ঘর থেকে বের হয়ে তার বোন লাভলীকে বিষয়টি জানিয়ে মুক্তার বাবার বাড়িতে খবর দেওয়ার কথা বলেন। এ কথা শুনে লাভলী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে রানাকে আটক করে।
মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘রানা তার আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলীকে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করত মুক্তার ওপর। শনিবার রাতে আমার মেয়ে মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই অত্যাচারের কথা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দারা আমাকে বলেছেন। রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, তাই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে রানা নামের যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।