কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন পরিবারের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভূক্তভোগী কিশোরী জানান, রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে বদরখালী স্টেশনে পৌঁছায়। পরে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে যেতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে চালক গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কথা জানান। পরে ওই কিশোরী গাড়ি থেকে নেমে ব্রিজের পূর্ব অংশে স্টেশনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক তাকে গতিরোধ করে মুখ চেপে ধরেন। এতে শোর চিৎকার করতে চাইলে অপর এক যুবক ছুরির ভয় দেখিয়ে পাশের প্যারাবনের দিকে নিয়ে যান।
কিশোরী আরও জানায়, ওই দুই যুবক কিশোরীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। পরে সেখানে উপস্থিত আরও দুই যুবক নির্যাতন করেন। ভূক্তভোগী কিশোরীকে সেখান থেকে প্যারাবনের আরও ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে আরও চার যুবক পরপর নির্যাতন চালালে কিশোরী অবচেতন হয়ে পড়ে।
তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে চলাচলরত পথচারী ও গাড়ি চালকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেও কেউ সাড়া দেয়নি জানিয়ে কিশোরী জানায়, ঘটনার একপর্যায়ে ভূক্তভোগী কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, কিশোরীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ভূক্তভোগী কিশোরী পরিবারের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী কিশোরী বা তার পরিবারের কারও লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করবে।