চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এরই মধ্যে সোম ও মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। উভয় বাহিনী সীমান্তে বতর্মানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৭৭/১এস ও ২এস এলাকায় পাঁচ-ছয় মাস আগে বিগত আওয়ামী লীগ আমলে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ৫০ গজ এগিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (আন্তর্জাতিক শূন্যরেখার ১০০ গজের মধ্যে) কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে ভারত। সেই রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিজিবি বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় স্থানীয় বাংলাদেশিরা ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে তারাও দিনব্যাপী সীমান্তে অবস্থান নেন। একইভাবে বিএসএফের সঙ্গে ভারতের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। গতকাল মঙ্গলবার(০৭জানুয়ারি) সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও অবস্থান করছেন।
৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সোমবার(০৬জানুয়ারি) সকালে ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার সবদলপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্ত ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তবে মঙ্গলবার আবারও বিএসএফের ওই অবৈধ রাস্তার পাশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকলেও উভয় বাহিনীই সর্তকাবস্থানে রয়েছে।
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার অংশে কোনো কাঁটাতারের বেড়া নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এখানেই প্রায় উন্মুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে আপত্তি জানায় বিজিবি। ফলে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ।