মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।একই সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ক্রিটিক্যাল টাইমে (ক্রান্তিকালীন) নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই একটা নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি… ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায় এমন সংস্কার বা পুনর্গঠন হোক। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন-কানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এ সময় পুরনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান নাসির উদ্দীন।
সিইসি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ হালনাগাদে ২ জানুয়ারি ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে, একটা ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এতদিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি- আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’
এ সময় সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন সিইসি।নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তারা আসবে আমাদের কাছে। তাদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি-ইনশাআল্লাহ তাদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তারা যে বঞ্চিত হয়েছে, যে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।’
এ সময় অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।