ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো শিবিরকর্মীর মরদেহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার

১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মীর মরদেহ। উত্তোলনের সময় মরদেহের মধ্যে একটি গুলিও পাওয়া যায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২০১৩ সালে গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় বিপুল সংখ্যক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই ৪ জনের মরদেহ উত্তোলনেরনির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আজ দুপুরে নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গুলিতে নিহত অপর ৩ জামায়াত-শিবির কর্মীরা হলেন সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলু। তাদের মরদেহ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১১ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো শিবিরকর্মীর মরদেহ

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মীর মরদেহ। উত্তোলনের সময় মরদেহের মধ্যে একটি গুলিও পাওয়া যায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২০১৩ সালে গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় বিপুল সংখ্যক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই ৪ জনের মরদেহ উত্তোলনেরনির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আজ দুপুরে নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গুলিতে নিহত অপর ৩ জামায়াত-শিবির কর্মীরা হলেন সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলু। তাদের মরদেহ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।