শাহজালাল থেকে গণভবন থাকবে ফুল আর করতালি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তাকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। সেদিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন পর্যন্ত ফুল ও করতালির মাধ্যমে তাকে গণসংবর্ধনা দেবেন দলের নেতাকর্মীরা।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১ তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রাপথে লন্ডনে একদিন অবস্থানের পর প্রথমে তিনি কানাডার মন্ট্রিয়ালে ‘ফিফথ রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ যোগ দেন। পরে সেখান থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১ তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরসূচি অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও ছেলে সজীব ওয়াজেদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসূচি পরিবর্তন করেছেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী এখন ভার্জিনিয়ায় তার ছেলের বাসায় অবস্থান করছেন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি দেশের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন।৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনার প্রস্তুতি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ দলের সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন ইতোমধ্যে বর্ধিত ও যৌথসভা করেছে।

শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

বিমান বন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে তুরাগ, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, বিমান বন্দর, খিলক্ষেত, উত্তরখান ও দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ থাকবে।

খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত থাকবেন কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপির নেতৃত্বে রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা, কাফরুল, ক্যান্টনমেন্ট, ভাষানটেক, রূপনগর থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ।

কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে হোটেল রেডিসন পর্যন্ত থাকবেন আসলামুল হক আসলাম এমপি ও ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লা এমপির নেতৃত্বে মিরপুর, শাহআলী, দারুস ছালাম, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ।

হোটেল রেডিসন থেকে চেয়ারম্যান বাড়ী, মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকায় থাকবে বনানী, গুলশান থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ।

মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত থাকবে জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপির নেতৃত্বে তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শের-ই-বাংলা নগর, মোহাম্মদপুর, আদাবর থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, ঢাকা মহানগর ১৪ দল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ডাক্তার ও নার্সরা থাকবেন।

সড়ক পরিবহন অফিস থেকে র‌্যাঙ্গস ভবন পর্যন্ত ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন থাকবে।

র‌্যাংস ভবন থেকে নভো থিয়েটার পর্যন্ত থাকবে কাজী ফিরোজ রশিদ এমপির নেতৃত্বে সুত্রাপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।

নভো থিয়েটার থেকে সামরিক জাদুঘর হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবল এমপির নেতৃত্বে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।

সামরিক জাদুঘর থেকে সংসদ ভবন মোড় পর্যন্ত থাকবেন রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাবের হোসেন চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে রমনা, শাহবাগ, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।

সংসদ ভবন মোড় থেকে গণভবনের দিকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও হাজী সেলিম এমপির নেতৃত্বে লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণ থাকবেন।

এছাড়াও গণভবনের সামনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস এমপির নেতৃত্বে ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর