ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবি প্রক্টর গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৪ বার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবা (১৮ নভেম্বর) রাতে নগরীর আলমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।

তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট মামলা করেন তার বড় ভাই রমজান আলী। মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার দায়ের করেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেগম  রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে আবু সাঈদসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা হেলমেট পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেন। একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ঢিল ছুড়েন ও পুলিশকে নির্দেশনা দেন। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবি প্রক্টর গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবা (১৮ নভেম্বর) রাতে নগরীর আলমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।

তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট মামলা করেন তার বড় ভাই রমজান আলী। মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য সম্পূরক এজাহার দায়ের করেন তিনি। আদালতের আদেশে তাদেরও ওই মামলায় নামীয় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর আগে এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেগম  রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে আবু সাঈদসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা হেলমেট পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেন। একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ঢিল ছুড়েন ও পুলিশকে নির্দেশনা দেন। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।