‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওযার্ড’ -এর জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ডিজিটাল বিশ্বের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভার্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্লান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট প্রদেশের নিউ হেভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস সম্মিলিতভাবে ১৯ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কার প্রদান করবে। এ বছর থেকে শুরু হওয়া এই পুরস্কারটি পরবর্তীতে প্রতি বছর একবার প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ আওযামী লীগের ওয়েব সাইটে দেয়া এক সংবাদে এ খবর জানিয়ে বলা হয়, এ বছর পুরস্কারটি প্রদান করবেন বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা রবার্ট ডেভি। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্য অর্জনের প্রথম বছরে আইসিটি ও প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের উপাদানগুলোকে গ্রহণের জন্য এই আয়োজন ।
ওয়েব সাইটে বলা হয়, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের সহায়তা করায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আইসিটি বিভাগে নেতৃত্বদান ও দৃঢ়তার সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তিখাত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টেকসই উন্নয়নের জন্য আইসিটি খাতকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্যপদ লাভ করেন। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের কাজ এবং পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।
ভারতের পালানি হিলসের কডাইকানাল আন্তর্জাতিক স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন তিনি এবং পরবর্তীতে অধ্যয়ন করেন তামিল নাডুর সেন্ট জোসেফ কলেজে। ব্যাঙ্গোলর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিএসসি ডিগ্রি নেন কম্পিউটার সাইন্স, ফিজিক্স ও ম্যাথম্যাটিকস বিষয়ে।
কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে তার আগ্রহের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পুনরায় বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। সর্বশেষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
সজিব ওয়াজেদ জয় প্রথম বাংলাদেশি হয়ে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। নিজ সমাজ ও পেশার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর বিশ্বে ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।