ফেনীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৭ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ফেনী সদর উপজেলা থেকে ১২ জন, পরশুরাম থেকে ৩ জন ও দাগনভূঞা থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে শহরের পশ্চিম ডাক্তারপাড়ার নিজ বাসা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম (৬৫), ফাজিলপুর ইউনিয়নের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বিপ্লব পাটোয়ারী (৪৫), মোটবী এলাকার আলী আকবরের ছেলে আবদুল করিম (৫২), পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে খায়েজ আহাম্মদ (৪৫), ফেনী পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জোবায়ের হোসেন মাহিম (২৫), ফাজিলপুরের মধ্যম শিবপুর এলাকার মৃত জান মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের (৬৭), লেমুয়া ইউনিয়নের মৃত শফিউল্লার ছেলে আইয়ুব আহাম্মেদ আনসারী (৫২), ফরহাদনগর ইউনিয়নের মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. আবুল কালাম (৫০), পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মৃত কাজী আমান উল্ল্যাহর ছেলে কাজী শরীয়ত উল্যাহ জুয়েল (৩৫), পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের শামছুল হকের ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব সাকিব (২০), পরশুরাম পৌরসভার উত্তর গুথুমা এলাকার নুর নবী পাটোয়ারীর ছেলে মাহাদী হাসান (২০), চিথলিয়া এলাকার মাক্কু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৮), ফাজিলপুর ইউনিয়নের আব্দুর রউফের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৯), উত্তর ধলিয়া এলাকার আবদুর রশিদ মেম্বারের ছেলে মো. ইদ্রিস মুন্সি (৩৫), ধলিয়া এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জিয়াউল হক রিপন (৪৫), দাগনভূঞার নন্দিরগাঁও এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মো. শাহপরান (৩৫) ও পাথুয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মো. আবদুল কুদ্দুছকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২ জন এজাহারনামীয় আসামি। অন্যদের সন্দেহজনকভাবে আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ (সোমবার) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।