ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ‌‍‘খাঁচায় বন্দি’ শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ১০ বার

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শোভাযাত্রায় খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রতীকী শেখ হাসিনাকে প্রদর্শন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শোভাযাত্রা তাকে প্রদর্শন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি খাঁচার মধ্যে টিয়া রঙের শাড়ি পরিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে শোভাযাত্রায়। চোখে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছে মধ্যবয়স্ক এক নারী। যার সাজগোজ অনেকটা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো। এই নারীর মাথায় চুলের বেনী করে তৈরি করা হয়েছে দুটি শিং।

একই সঙ্গে তার মুখে রং এবং কৃত্রিম দাঁত লাগিয়ে রাক্ষসের মতো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া, খাঁচার ভেতরে রয়েছে কয়েকটি কৃত্রিম মানুষের কঙ্কাল।

খাঁচার গায়ে একাধিক প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা— ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম রাক্ষসী’, ‘আমি দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে যাই’, ‘আমি নিরপরাধ ও নির্দোষ মানুষ গুম করি’, ‘আমি ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে ধ্বংস করি’, ‘আমি নিরপরাধ ছাত্র খুনি’ নানা রকমের বাক্য।

শোভাযাত্রাটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্যভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল শেরাটন, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।

এই শোভাযাত্রায় শুধু ঢাকা মহানগরীই নয়, আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ‌‍‘খাঁচায় বন্দি’ শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শোভাযাত্রায় খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রতীকী শেখ হাসিনাকে প্রদর্শন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শোভাযাত্রা তাকে প্রদর্শন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি খাঁচার মধ্যে টিয়া রঙের শাড়ি পরিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে শোভাযাত্রায়। চোখে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছে মধ্যবয়স্ক এক নারী। যার সাজগোজ অনেকটা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো। এই নারীর মাথায় চুলের বেনী করে তৈরি করা হয়েছে দুটি শিং।

একই সঙ্গে তার মুখে রং এবং কৃত্রিম দাঁত লাগিয়ে রাক্ষসের মতো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া, খাঁচার ভেতরে রয়েছে কয়েকটি কৃত্রিম মানুষের কঙ্কাল।

খাঁচার গায়ে একাধিক প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা— ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম রাক্ষসী’, ‘আমি দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে যাই’, ‘আমি নিরপরাধ ও নির্দোষ মানুষ গুম করি’, ‘আমি ভারতের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে ধ্বংস করি’, ‘আমি নিরপরাধ ছাত্র খুনি’ নানা রকমের বাক্য।

শোভাযাত্রাটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্যভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল শেরাটন, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।

এই শোভাযাত্রায় শুধু ঢাকা মহানগরীই নয়, আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।