ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানদের বিপক্ষে নেমে অবিশ্বাস্য হার বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ১ বার

আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৪৩ রানে। ম্যাচ হারল ৯২ রানে।

রান তাড়ায় সহজেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু ৩ উইকেটে ১৩১ থেকে আর ১২ রান যোগ করতেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন নবি। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৩ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন শান্ত। আফগানিস্তানের হয়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেছেন গাজনাফার।

লিটন দাস না থাকায় ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গে অটো চয়েজ ছিলেন তানজিদ তামিম। তবে ব্যর্থ এই তরুণ ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের ক্যারম বলে বোল্ড হয়েছেন। তার আগে তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান। তানজিদ দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৫৩ রান। সৌম্য ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে ততক্ষণে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাজে সময় পার করেছেন তিনি। তবে ৭ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে আবারও রানের দেখা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬৮ বলে ৪৭ রান করেছেন শান্ত। অল্পের জন্য ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফিরিয়ে ৫৫ রানের জুটি ভেঙেছেন নবি।

শান্ত যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২০ রান। তখনও ম্যাচে স্পষ্ট ফেভারিট বাংলাদেশ। অথচ সেখান থেকেই যেন ধ্বস নামে টাইগারদের ইনিংসে। এরপর আর মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই বাকি ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা।

শান্তর পর পরই ফেরেন মেহেদি মিরাজ। চারে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়রাও। শেষদিকে তাসকিন-শরিফুলও দ্রুতই ফিরলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন নবি। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের বিপক্ষে নেমে অবিশ্বাস্য হার বাংলাদেশের

আপডেট টাইম : ১০:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৪৩ রানে। ম্যাচ হারল ৯২ রানে।

রান তাড়ায় সহজেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু ৩ উইকেটে ১৩১ থেকে আর ১২ রান যোগ করতেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন নবি। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৩ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন শান্ত। আফগানিস্তানের হয়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেছেন গাজনাফার।

লিটন দাস না থাকায় ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গে অটো চয়েজ ছিলেন তানজিদ তামিম। তবে ব্যর্থ এই তরুণ ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের ক্যারম বলে বোল্ড হয়েছেন। তার আগে তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান। তানজিদ দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৫৩ রান। সৌম্য ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে ততক্ষণে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাজে সময় পার করেছেন তিনি। তবে ৭ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে আবারও রানের দেখা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৬৮ বলে ৪৭ রান করেছেন শান্ত। অল্পের জন্য ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফিরিয়ে ৫৫ রানের জুটি ভেঙেছেন নবি।

শান্ত যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২০ রান। তখনও ম্যাচে স্পষ্ট ফেভারিট বাংলাদেশ। অথচ সেখান থেকেই যেন ধ্বস নামে টাইগারদের ইনিংসে। এরপর আর মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই বাকি ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা।

শান্তর পর পরই ফেরেন মেহেদি মিরাজ। চারে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়রাও। শেষদিকে তাসকিন-শরিফুলও দ্রুতই ফিরলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন নবি। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন শাহিদি। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।