ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করলো শিশু হাবিব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩৯ বার

পাঁচ পৃষ্ঠা থেকে সবক দেওয়া শুরু। এরপর কখনো ১০ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১৫ পৃষ্ঠা। এভাবে সবক দিয়ে মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন হিফজ করল নোয়াখালীর বিস্ময় শিশু হাবিবুর রহমান (৮)।

বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী হাবিব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন রাসেলের ছেলে।

জানা গেছে, শিশু হাবিব ২০২২ সালে এক বছর নুরানী পদ্ধতিতে পড়ার পর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নাজেরা (কোরআন দেখে পড়া) পড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে কোরআন শরিফ হেফজ (মুখস্থ) শুরু করে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন মুখস্ত করে সে। এমন বিরল কৃতিত্ব অর্জনে তার শিক্ষক ও পরিবারের লোকরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

শিশু হাফেজ হাবিবুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথমে পাঁচ পৃষ্ঠা, তারপর ১০পৃষ্ঠা ও ১৫ পৃষ্ঠা করে সবক দিতাম।  আমি বড় হয়ে একজন বড় আলেম হতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন।

হাবিবুর রহমানের শিক্ষক হাফেজ মো. নুরুল আলম বলেন, সে পড়াশোনায় খুব আগ্রহী ছিল। সে যেদিন হাফেজ হয়েছে সেদিন বিকেলেও যথা সময়ে পড়তে বসে গেছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বড় আলেম হিসেবে কবুল করুন।

হাবিবুর রহমানের মা সাজেদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আমি মাদরাসার উপরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। হাবিবুর রহমানকে আমি সারাদিনও দেখতে পেতাম না। বিকেলে সবাই যখন খেলাধুলা করতো তখনও হাবিব পিলারের এক কোনায় গিয়ে কোরআন মুখস্ত করতো৷ আমার বড় ছেলে আব্দুর রহমানও একই দিন হাফেজ হয়েছে । আল্লাহ তাদের মনের আশা পূরণ করুন এবং আল্লাহ দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

 

বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কারি শাহাদাত হোসাইন বলেন, হাবিবুর রহমান একজন বিস্ময়কর বালক। আল্লাহপাক তাকে কবুল করছেন বলেই মাত্র ৪৯ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে। আমরা তার সফলতা কামনা করি। তবে এতো অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। এটি আমাদের জন্য গর্বের। দোয়া করি আল্লাহ এই শিশুকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে সত্যিই অবাক হয়েছি। হাবিবুর রহমান আসলেই বিস্ময় বালক। আমি তার জন্য দোয়া করি এবং তার সফলতা কামনা করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মাত্র ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করলো শিশু হাবিব

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

পাঁচ পৃষ্ঠা থেকে সবক দেওয়া শুরু। এরপর কখনো ১০ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১৫ পৃষ্ঠা। এভাবে সবক দিয়ে মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন হিফজ করল নোয়াখালীর বিস্ময় শিশু হাবিবুর রহমান (৮)।

বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী হাবিব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন রাসেলের ছেলে।

জানা গেছে, শিশু হাবিব ২০২২ সালে এক বছর নুরানী পদ্ধতিতে পড়ার পর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নাজেরা (কোরআন দেখে পড়া) পড়ে। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১৯ তারিখে কোরআন শরিফ হেফজ (মুখস্থ) শুরু করে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৪৯ দিনে পুরো কোরআন মুখস্ত করে সে। এমন বিরল কৃতিত্ব অর্জনে তার শিক্ষক ও পরিবারের লোকরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

শিশু হাফেজ হাবিবুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথমে পাঁচ পৃষ্ঠা, তারপর ১০পৃষ্ঠা ও ১৫ পৃষ্ঠা করে সবক দিতাম।  আমি বড় হয়ে একজন বড় আলেম হতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন।

হাবিবুর রহমানের শিক্ষক হাফেজ মো. নুরুল আলম বলেন, সে পড়াশোনায় খুব আগ্রহী ছিল। সে যেদিন হাফেজ হয়েছে সেদিন বিকেলেও যথা সময়ে পড়তে বসে গেছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বড় আলেম হিসেবে কবুল করুন।

হাবিবুর রহমানের মা সাজেদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আমি মাদরাসার উপরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। হাবিবুর রহমানকে আমি সারাদিনও দেখতে পেতাম না। বিকেলে সবাই যখন খেলাধুলা করতো তখনও হাবিব পিলারের এক কোনায় গিয়ে কোরআন মুখস্ত করতো৷ আমার বড় ছেলে আব্দুর রহমানও একই দিন হাফেজ হয়েছে । আল্লাহ তাদের মনের আশা পূরণ করুন এবং আল্লাহ দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

 

বাইতুল কুরআন ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ কারি শাহাদাত হোসাইন বলেন, হাবিবুর রহমান একজন বিস্ময়কর বালক। আল্লাহপাক তাকে কবুল করছেন বলেই মাত্র ৪৯ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে। আমরা তার সফলতা কামনা করি। তবে এতো অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করার বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। এটি আমাদের জন্য গর্বের। দোয়া করি আল্লাহ এই শিশুকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।

বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে সত্যিই অবাক হয়েছি। হাবিবুর রহমান আসলেই বিস্ময় বালক। আমি তার জন্য দোয়া করি এবং তার সফলতা কামনা করি।