ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে মধ্য আমেরিকার নিকারাগুয়া। একইসঙ্গে এক ঘোষণায় শুক্রবার দেশটি ইসরাইলি সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী এবং গণহত্যাকারী’ বলে অভিহিত করেছে।
নিকারাগুয়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগে গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে দেশটির কংগ্রেস।
মুরিলো, যিনি প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার স্ত্রী। তিনি বলেছেন, তার স্বামী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘ইসরাইলের ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে’।
ঘোষণাটি মূলত একটি প্রতীকী, যেহেতু ইসরাইলে নিকারাগুয়ান রাজধানী মানাগুয়াতে কোনো আবাসিক রাষ্ট্রদূত নেই এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় অস্তিত্বহীন।
এরপরও, ঘোষণাটি এমন এক সময়ে আসলো যখন গাজায় এবং লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
গত এক বছরে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে লেবাননে বোমা হামলায় আরও হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
নিকারাগুয়ান সরকার শুক্রবার গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের নিন্দা করেছে। দেশটি বলেছে যে যুদ্ধ এখন লেবাননের বিরুদ্ধে প্রসারিত হয়েছে এবং সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরানকে মারাত্মকভাবে হুমকি দিচ্ছে।
গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা লাতিন আমেরিকায় তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং চিলির মতো দেশের বামপন্থি নেতারা ইসরাইলের স্পষ্টবাদী সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।