ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

জয়শঙ্করের ইসলামাবাদ সফরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৪ বার

৯ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সফরে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলতে পারে, এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকের। এছাড়া গণমাধ্যমের আগ্রহও ছিল অনেক। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন আগেই। এবার সেটা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান।

কারণ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদে আসছেন এস জয়শঙ্কর।  তার বাইরে আলাদা করে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।

এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন।

জয়শঙ্করের ইসলামাবাদ সফর নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই।  তিনি পরিস্কার বলেছেন, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়াটাই তার পাকিস্তান সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য। পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন না তিনি। আমার মনে হয়, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথাতেই সব কিছু স্পষ্ট।  নতুন করে আর কিছু বলার নেই।’

এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এস জয়শঙ্কর বলেছেন,  এই সফরে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি একটি বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠান। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে যাচ্ছি না আমি।

আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হবে এসসিও সম্মেলন। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জয়শঙ্কর।

গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতকে কাশ্মীর ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।  ওই সময় পালটা জবাব দিয়েছিলেন জয়শঙ্করও।  তার পর প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি পাকিস্তানে এসসিও সামিট বয়কট করবে ভারত? তবে এসসিওর অন্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি করতে চায় না বলেই সামিটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।  কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আগের জায়গাতেই থাকবে অনুমান বিশ্লেষকদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস

জয়শঙ্করের ইসলামাবাদ সফরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান

আপডেট টাইম : ১০:১৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

৯ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সফরে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলতে পারে, এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকের। এছাড়া গণমাধ্যমের আগ্রহও ছিল অনেক। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন আগেই। এবার সেটা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান।

কারণ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদে আসছেন এস জয়শঙ্কর।  তার বাইরে আলাদা করে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।

এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন।

জয়শঙ্করের ইসলামাবাদ সফর নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই।  তিনি পরিস্কার বলেছেন, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়াটাই তার পাকিস্তান সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য। পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন না তিনি। আমার মনে হয়, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথাতেই সব কিছু স্পষ্ট।  নতুন করে আর কিছু বলার নেই।’

এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এস জয়শঙ্কর বলেছেন,  এই সফরে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি একটি বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠান। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে যাচ্ছি না আমি।

আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হবে এসসিও সম্মেলন। সেখানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জয়শঙ্কর।

গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতকে কাশ্মীর ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।  ওই সময় পালটা জবাব দিয়েছিলেন জয়শঙ্করও।  তার পর প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি পাকিস্তানে এসসিও সামিট বয়কট করবে ভারত? তবে এসসিওর অন্য সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি করতে চায় না বলেই সামিটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।  কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আগের জায়গাতেই থাকবে অনুমান বিশ্লেষকদের।