আগামী ১৫ অক্টোবর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ওইদিন সকাল ১১টার দিকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এবার ফল প্রকাশের জন্য কোনো কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে না। নিজ নিজ বোর্ড অফিস থেকে ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত গত প্রায় ২২ বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবলিক পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর হয়ে আসছিলো। বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতেন। সেখানে উপস্থিত থাকতেন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা সংবাদ সম্মেলন করার পর পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারতেন।
তবে, প্রতিবছরের মতোই এবারও এসএমএস, ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে পারবেন।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিলো সেটা অনুমোদন হয়ে এসেছে।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অসম্পূর্ণ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠিত বিষয়গুলো পূর্ণমানে এবং বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার নির্দেশনা দেয়া হয় সেই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে বাতিল করা হয় স্থগিত সব পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত হয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলোর ফল নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার মাধ্যমে।