আর মাত্র ক’দিন বাকি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গবাদী পশু কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীদের জমজমাট ব্যবসা হয়।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে পশুর হাটে-বাজারে মোটাতাজাকরণ পশু সরবরাহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
চাহিদার বিষয়টি মাথায় থাকলেও ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভাবেন ক’জন? সবাই তো নিজের লাভের কথাই চিন্তা করেন।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর এ ধরনের চিন্তার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষদের। যারা ঈদ উপলক্ষে আল্লাহর আদেশ পালনে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
বেশি দামে পশু বিক্রি করতে নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইঞ্জেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার
করে এসব পশুকে মোটাতাজা করে থাকেন তারা, যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন ভয়ানক ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালী ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
মোটাতাজাকরণ গবাদী পশু চেনার কিছু উপায় রয়েছে। যেগুলো জানা থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সুস্থ গরু চিনতে যা করবেন
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মোটা গবাদী পশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।
স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু বা ছাগল মোটাতাজা হয় সেগুলো খুবই চটপটে হয়। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে ওষুধের মাধ্যমে যেসব গরু বা ছাগল মোটাতাজা করা হয় সেগুলো নড়াচড়া কম করে। এজন্য সন্দেহ হলে ওইসব পশু যদি শুয়ে থাকে তাহলে উচিত হবে তাকে হাঁটিয়ে দেখা।
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। একটু হাঁটলেই হাঁপায়। খুবই ক্লান্ত দেখায়। ইনজেকশন দেয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়। স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।
হাটে যাওয়ার পর উশকোখুশকো, চামড়ার ওপর দিয়ে হাড় বেরিয়ে পড়া পশু কিনতে চেষ্টা করুন। এগুলো কোনোরকম কৃত্রিম উপায় ছাড়াই বাজারে সরবরাহ করা হয়। চকচক করা গরু বা ছাগলকে দেয়া হয় ইনজেকশন।
এছাড়া যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।