ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ০ বার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৪ জন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

শুনানি শেষে বুধবার (০২ অক্টোবর) এ আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন।

বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও আল ইমরান হোসেন, বেরোবির গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, তাজহাট থানার সাবেক ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই বিভূতিভূষণ, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন।

বাকি তিন আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আসামিরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কার কারণে আদালত আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার ১৭ জন আসামিদের মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন কিন্তু ১৪ জন আসামির কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। দ্রুত বিচারের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের যাতে আইনের আওতায় আসে এ জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজনের বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আবু সাঈদ হত্যা মামলার ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৪ জন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

শুনানি শেষে বুধবার (০২ অক্টোবর) এ আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন।

বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও আল ইমরান হোসেন, বেরোবির গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, তাজহাট থানার সাবেক ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই বিভূতিভূষণ, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন।

বাকি তিন আসামি পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আসামিরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কার কারণে আদালত আদেশ দিয়েছেন। এই মামলার ১৭ জন আসামিদের মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন কিন্তু ১৪ জন আসামির কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। দ্রুত বিচারের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের যাতে আইনের আওতায় আসে এ জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজনের বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি