হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ইরানের শীর্ষ জেনারেল এবং হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিশোধ কবে নিবে ইরান, এ নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে। অবশেষে আড়মোড় ভেঙে মঙ্গলবার ইসরাইলে অন্তত ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তেহরান।
বদলা হিসেবে ইরানে যে কোনো সময়ের বড় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। বুধবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
ভিডিও বার্তায় ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘ইরান ইসরাইলে সরাসরি ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের কেন্দ্রস্থলে অল্প সংখ্যক এবং বাকিগুলো দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে।’
‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষামূলক জোট প্রতিহত করেছে।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ইরানের হামলা মারাত্মক ও বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। তেহরানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
হাগারি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে, হামলার জবাব দিতে ইসরাইল পুরোপুরি প্রস্তুত। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে জবাব দেব’।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের ভূখন্ডে সরাসরি হামলা না করে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের মিত্রগোষ্ঠীর উপর হামলার তীব্রতা বাড়াতে পারে ইসরাইল। তবে ইরানে সরাসরি হামলা করলেও এ ক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ কয়েক যুগ ধরে দুই পক্ষই একে অপরকে হিংসাত্মক আক্রমণ করে যাচ্ছে।
ইসরাইলের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী মিকি জোহারও এক্স হ্যান্ডলে লিখেছের, ‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (খামেনি), যিনি তার জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে খুব ভারী মূল্য দিতে হবে। এবার অভিশপ্ত ইরানি শাসন গুঁড়িয়ে দেওয়ার শুরু।’