জনপ্রিয় ধর্মপ্রচারক ও বিশ্লেষক ডা. জাকির নায়েককে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার সকালে পাকিস্তানের নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে।
জিয়ো নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর যুব কর্মসূচির চেয়ারম্যান রানা মাসুদ, দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আতা-উর-রহমানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আমলা ডা. জাকির নায়েককে স্বাগত জানানোর জন্য নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় এক মাসের এই সফরে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কয়েক জন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন জাকির; পাশাপাশি ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরে কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
সোমবার পাকিস্তানে পৌঁছানোর পরই ডা. জাকির নায়েক জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুসলিম উম্মাহর চ্যালেঞ্জ এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এসময় ডা. জাকির নায়েক বলেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম, আমার প্রচার কাজের উদ্দেশ্য বিশ্বে ইসলামের শান্তি ও ভালোবাসার প্রকৃত বার্তা তুলে ধরা।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, ইসলামী শিক্ষা শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ভালোবাসার বার্তা দেয়, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং একসঙ্গে চলতে হবে।
পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে ডা. জাকির নায়েক পাকিস্তানে এসেছেন। তিনি করাচি, লাহোর এবং ইসলামাবাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ব্যক্তিত্বদের সাথেও দেখা করবেন।
নিজ দেশ ভারতে আইনি জটিলতার কারণে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এই ধর্মপ্রচারক।
জাকির নায়েক পিস টিভি নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করতেন। সেখানেই ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনা করতেন তিনি। তবে লাগাতার উসকানিমূলক ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকায় তার টেলিভিশন চ্যানেলটি নিষিদ্ধ হয়। উগ্র বক্তব্য দেওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশ দু’টির সরকার।
যে বছর পিস টিভি নিষিদ্ধ হয়, সেই ২০১৬ সালে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। মামলা হওয়ার সময় অবশ্য দেশের বাইরে ছিলেন জাকির। মামলার সংবাদ শুনে আর ভারতে ফেরেননি তিনি।