ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

মূল্যস্ফীতি কমেছে, মজুরি বেড়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৬ বার

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে থাকলেও জুলাইয়ে হঠাৎ করে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠে যায়। সেখান থেকে গেল আগস্টে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে। অন্যদিকে আগস্টে শ্রমিকের গড় মজুরি সূচকও বেড়েছে, যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল ওয়েবসাইটে মাসওয়ারি হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস।

বিবিএসের তথ্য বলেছে, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ১৩ বছর ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এদিকে সাধারণ সূচকে আগস্টে শ্রমিক মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ছয় বছরের মধ্যে এই মজুরি হার সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি কৃষি খাতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। এর পরই সেবা খাতে মজুরির হার ছিল ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে গত আগস্টে এ খাতে মজুরি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে আগস্টে মজুরি সূচক হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

মূল্যস্ফীতি কমেছে, মজুরি বেড়েছে

আপডেট টাইম : ১০:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘরে থাকলেও জুলাইয়ে হঠাৎ করে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠে যায়। সেখান থেকে গেল আগস্টে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে। অন্যদিকে আগস্টে শ্রমিকের গড় মজুরি সূচকও বেড়েছে, যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল ওয়েবসাইটে মাসওয়ারি হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস।

বিবিএসের তথ্য বলেছে, জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ১৩ বছর ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আগস্টে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এদিকে সাধারণ সূচকে আগস্টে শ্রমিক মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ছয় বছরের মধ্যে এই মজুরি হার সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি কৃষি খাতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। এর পরই সেবা খাতে মজুরির হার ছিল ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে গত আগস্টে এ খাতে মজুরি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে আগস্টে মজুরি সূচক হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।