ইসরায়েলজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের পরিবারগুলো। গাজা থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে তারা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। এদিকে গাজায় শিশুদের পোলিও টিকা দানে গতকাল রবিবার থেকে হামলায় তিন দিনের বিরতি দিয়েছে ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েল সরকার এটিকে যুদ্ধবিরতি বলতে রাজী নয়।
গাজার রাফাহ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর জিম্মিদের পরিবার ও বন্ধুরা নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু আর তাঁর মন্ত্রিসভার গোঁয়ার্তুমির কারণেই গাজায় থাকা জিম্মিরা মারা যাচ্ছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে সম্প্রতি কাতারের দোহা ও মিসরের কায়রোয় আলোচনা হলেও তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। মিসরসংলগ্ন ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনা রাখা নিয়ে হামাস ও নেতানিয়াহু সরকারের মতবিরোধ গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার ব্যর্থতার অন্যতম বড় কারণ।
এবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে নেতানিয়াহু সরকারকে সরে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন। জিম্মিদের স্বজনদের গতকাল থেকে ধর্মঘটে বসার কথা। তারা এই ধর্মঘটে যোগ দিতে সব ইসরায়েলির প্রতি আহবান জানিয়েছে।
গাজায় পোলিও টিকা কর্মসূচি
গাজাজুড়ে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পোলিও টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় উপত্যকাটির ছয় লাখ ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। গতকাল মধ্য গাজায় তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু হয়। অবশ্য গত শনিবার দক্ষিণ গাজায় অনেক শিশুকে টিকা খাওয়ানো হয়েছে। মধ্য গাজার এক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, এক দিন বয়সী থেকে ১০ বছরের শিশুদের টিকা খাওয়ানোর জন্য আনা হয়েছে। আকাশে অনেক ড্রোন ওড়াউড়ি করছে।
তবে টিকা কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ার আশা করছেন তিনি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে এই টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বৃহস্পতিবার জানায়, উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য গাজা এলাকায় শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়াতে ধারাবাহিক তিন দিনের হামলায় বিরতি দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।
সূত্র : এএফপি