এক জীবনে ফুটবল থেকে যা কিছু অর্জন সম্ভব তার প্রায় সবই অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি। অর্জনের ঝুলিতে অপূর্ণ কিছু নেই রেকর্ড ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। মেসিকে তাই মাঠে খেলতে দেখাটাই বড় পাওয়া ভক্তদের। তবে ৩৭ এ পা দেওয়া মেসি আরও ২ বছর পর ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ভক্তরা যখন বিশ্বকাপে মেসির খেলা দেখতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায়; তখন তাদের দারুণ সুখবরই দিলেন মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ ম্যাক আলিস্টার।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই বলা হচ্ছিল এবার বুটজোড়া তুলে রাখবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে শেষ পর্যন্ত সে পথে না হেঁটে আরও একটা কোপা আমেরিকা জয়ে অর্জনের ঝুলি সমৃদ্ধ করেছেন মেসি। তখন বলা হচ্ছিল এই কোপাতেই থামবেন মেসি। কিন্তু এবারও বিদায় বলেননি মেসি। তাই স্বাভাবিকভাবেই মেসিকে বিশ্বকাপে দেখার স্বপ্ন দেখছে তার ভক্তরা।
নিজের অবসর নিয়ে অবশ্য মেসিকেও বিভিন্ন সময় কথা বলতে হয়েছে। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে সরাসরি না কিংবা হ্যাঁ বলেননি তিনি। বিষয়টি তিনি ছেড়ে দিয়েছেন নিজের ফিটনেসের ওপর। যদিও মেসির সতীর্থরা বারবারই বলে এসেছেন তারা অন্তত মেসিকে ২০২৬ বিশ্বকাপেও দেখছেন।
এবার একই কথা বললেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। লিভারপুলের এই তারকা মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে বলছেন, ‘আপনি যদি আমার ভাবনা জানতে চান, হ্যাঁ, আমি মনে করি সে সেখানে (২০২৬ বিশ্বকাপে) থাকবে। অন্তত সাক্ষাৎকারে তার কথা শুনে বা আমরা যখন জাতীয় দলে যোগ দিয়ে তাকে অনুশীলন করতে দেখি কিংবা যেভাবে সে খেলে; আমার কোনো সন্দেহ নেই যে সে সহজেই খেলতে পারবে।’
বিশ্বকাপের কাছাকাছি সময়ে মেসির খেলা না–খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে উল্লেখ করে ম্যাক আলিস্টার আরও বলেছেন, ‘এটাও ঠিক যে এই সিদ্ধান্ত খুবই ব্যক্তিগত। সম্ভবত (বিশ্বকাপের) সময় ঘনিয়ে আসবে তখন সে কেমন অনুভব করছে, তার প্রেক্ষিতে এটা ঘোষণা করা হবে। আমি আশা করি সে বিশ্বকাপে থাকবে। আর এটা সব সময় বলি, লিও আমার কাছে বিশ্বসেরা। পার্থক্য গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার আছে, এমনকি তার বয়স হয়ে যাওয়ার পরও।’
সবশেষ কোপার ফাইনালে চোটে পড়েন মেসি। সেই চোট কাটিয়ে এখনো মাঠে ফেরা হয়নি তার। ফলে সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচে মেসিকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে আর্জেন্টিনাকে। যা নিয়ে ম্যাক আলিস্টার বলছেন, ‘আমরা সব সময় দলের ওপর মনোযোগ দিই। আমরা জানি যে লিও (মেসি) এখানে থাকবে না। আমাদের এখন আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ, কোনো কিছু ভুল হলে যে খেলোয়াড়টি আমাদের বাঁচাতে পারেন, তিনি থাকবেন না। আমরা জানি যে লিও থাকলে প্রতিপক্ষ কিছুটা ভীত থাকে। এটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের এমন খেলোয়াড়ও আছে, যারা ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোতে খেলেন। ফলে তারা (প্রতিপক্ষ) যখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে দেখে, তারা বুঝতে পারে ম্যাচটা সহজ হবে না। এটাই আমরা চাই। আমরা আমাদের সেরাটা দেখাতে চাই, যেন প্রতিপক্ষের জন্য দিনটা কঠিন হয়ে ওঠে।’