সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল পাল্টে দেওয়ার চক্রান্তের বিষয়ে করা মামলায় নতুন আরও একটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ নতুন এ অভিযোগটি এনেছেন।
জানা যায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল পাল্টে দেওয়ার চক্রান্ত বিষয়ক মামলাটি করা হয়েছিল গত বছর। এতে অভিযোগ ছিল চারটি। নতুন ‘সংশোধিত’ অভিযোগে সেই চারটি অভিযোগই রয়েছে। তবে সেগুলোর আওতা আগের চেয়ে কমেছে।
তবে নতুন অভিযোগের বিশেষ দিক হলো এতে ট্রাম্পকে সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, বরং দেশটিতে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার পুনরায় নির্বাচিত হতে চাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওয়াশিংটনের জেলা বিচারক তানিয়া চুটকান নতুন অভিযোগ নিয়ে শুনানি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তখন মামলাটি কীভাবে আগাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের গত বছর করা মামলাটি থেকে গত ১ জুলাই ট্রাম্পকে দায়মুক্তি দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে তিনি এই দায়মুক্তি পান বলে তখন মন্তব্য করেছিলেন আদালত।
দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের দায়মুক্তির কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নতুন অভিযোগের আওতা কমে এসেছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের দায়মুক্তির রায়ের ভিত্তিতেই জেলা বিচারক তানিয়া চুটকানকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তবে দেশটির আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া তেমন একটা এগোবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নতুন এ অভিযোগের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, পুরো মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের দায়মুক্তির রায়ের ভিত্তিতেই পরিচালিত হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটানোর জন্য স্মিথ একই মামলা নতুন করে উত্থাপন করেছেন।
উল্লেখ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের ফল মানতে পারছিলেন না ট্রাম্প। তাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের দিন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দেশটির কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের সমর্থকেরা হামলা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, এতে ট্রাম্পের ইন্ধন ছিল।
নির্বাচনী ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলাটির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। এটি-সহ তার বিরুদ্ধে করা অন্যান্য মামলাকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের।