ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি।
রোববার ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটির লিয়োজোঁ কমিটি। এতে দেশে সৃষ্ট সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে একমত হন নেতারা। একই সঙ্গে যৌক্তিক সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানানো হয়।
রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পৃথকভাবে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমামনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বৈঠকে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জনগণের চলমান সংকট নিরসনে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সরকার দেশ এবং জনগণের বিরুদ্ধে সব অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা সতর্কতায় ত্রিপুরার বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার ফলে অতর্কিত প্রবল বন্যায় বাংলাদেশের জনগণ আক্রান্ত হয়েছেন। এসব বিবেচনায় সব নদীর প্রবাহ ও নির্মিত বাঁধগুলোর প্রতিক্রিয়া নিয়ে পর্যালোচনা এবং তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের সব দল বন্যায় সহায়তার যথাসাধ্য তৎপরতা চালাচ্ছে। এই তৎপরতা আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যার্তদের সহায়তার আত্মনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আমরা যারা তার সহযোগী হিমশিম খাচ্ছি। ঠিক সেই সময় একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা আমাদের আক্রমণ করেছে।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বাদল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুল রাকিব, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, পিএনপির ফিরোজ মো. লিটন, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির এমএ মান্নান।
এদিকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের পক্ষে ছিলেন- জোট প্রধান ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেল সাম্যবাদী দলের কমরেড. ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ক্বারী মো. আবু তাহের, জোটের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এসএম শাহাদাত, আবু সৈয়দ, ইঞ্জি. আব্দুল বারিক, কমরেড সুরাইফল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল হক মিঠু।